একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও নারীদের নিয়ে অশোভন বক্তব্য দিয়ে সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়েছিলেন ব্যাপক আলোচিত একটি নাম ডা. মুরাদ হাসান। কিন্তু কোনো দেশেই যেতে না পেরে শেষমেষ গত রোববার বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি।
রোববার বিকেল ৪ টা ৫৫ মিনিটে এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইট ধরে হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।সেখান থেকে মুরাদ হাসান অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে চলে যান অপরিচিত একজনের গাড়িতে করে।
কিন্তু মুরাদ হাসান এখন কোথায় আছেন তা কেউ জানে না। নিজের ফোনও বন্ধ রেখেছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে অপরিচিত একজনের গাড়িতে করে চলে যান ডা. মুরাদ। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল তিনি তার ধানমন্ডির নিজের বাসায় যাবেন। তবে তিনি সেখানে যাননি। পরে শোনা যায় তিনি তার এক ভাইয়ের বাসায় উত্তরায় আছেন। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা তিনি আত্মগোপনেই থাকার সিদ্বান্ত নিয়েছেন। একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে কানাডায় ঢুকতে না পেরে বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় বসে দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে ডা. মুরাদ যোগাযোগ করেন ভিসার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু সেখানেও তিনি ব্যর্থ হন।
তারপর এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বরের ফ্লাইট ধরে দেশে ফিরেন মুরাদ।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে জিয়া পরিবার নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য এবং চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে একটি ফোনালাপের ফাঁসের জের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাধ্য হয়েই মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয় তাকে। তবে পদত্যাগের পর তিনি কোথায় আছেন? তা কেউ বলতে পারছে না।