নয়টি মামলায় নিজেকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিন তার আইনজীবীর মাধ্যমে এসব মামলায় তাকে গ্রেফতারের আবেদন করেন। তবে এ বিষয়ে এখনো আদেশ হয়নি।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কালো গাড়িতে করে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয়। এ সময় তাকে আদালতের কক্ষে রাখা হয়। তার গাড়ি আদালত চত্বরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ফখরুলের জামিনের দাবিতে মিছিল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এদিন রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক নয়টি মামলায় মির্জা ফখরুলের গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানি হবে।
বিএনপি মহাসচিবের বিরুদ্ধে করা ৯টি মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। ওই দিন বিএনপি নেতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ আদেশ দেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি মহাসচিবের নাম এজাহারে থাকার পরও গ্রেফতার না দেখানো ৯টি মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ না করা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত ১৭ ডিসেম্বর বিএনপি এ নেতার ৯টি মামলায় জামিনের আবেদন গ্রহণ না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় আটটি ও রমনা মডেল থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। গত ২৯শে অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিন থেকেই কারাগারে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। পরে ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।