ইসির নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ১৮ ডিসেম্বরের পর নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। আরও শক্ত হওয়ার সংকেত। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ পর্যায়ে তা সহিং”সতার দিকে গেলে তা দলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে দল গোছানো এবং দীর্ঘমেয়াদি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হচ্ছে ১৮ ডিসেম্বর। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে বা ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করে এমন কোনো কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে। এরই মধ্যে আদেশটি আইজিপির কার্যালয়ে পৌঁছে গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তাহলে কী আছে তাদের নতুন পরিকল্পনায়! দলটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে যা করেছিল তার চেয়েও কঠোর হবে তারা।
দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে ওই নির্বাচন বানচাল করতে যেসব কর্মসূচি দিয়েছিল, ২০২৩ সালে বিএনপি ও সমমনারা জনগণকে সাথে নিয়ে তার থেকেও কঠোর কর্মসূচি দেবে। আমরা এ নির্বাচন প্রতিহত করবো।’
তবে এই কঠোরতা ধ্বংসাত্মক হলে তা বিএনপির জন্য সুখকর হবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ২০১৪ সালের অগ্নিসংযোগের উদাহরণ তুলে ধরে তারা বলে যে এরকম কিছু করা দলের জন্য বিপরীত বিপদের কারণ হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, “নির্বাচনে যাওয়াটাই ছিল বিএনপির জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু তারা যাননি। এখন আমার মনে হয়, বিএনপি সহিংস কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে দুবার ভাববে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার একটা ব্যাপার আছে। আবার তাদের নেতাকর্মীরাও স্বাভাবিক জীবনে নেই।
এর বাইরে অন্য বিশ্লেষকরাও বলছেন, ‘প্রথমে দলকে সুসংগঠিত করে নেতাকর্মীদের শক্তিশালী করতে হবে। সেক্ষেত্রে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন বর্জনের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামলে সুবিধা পেতে পারে দলটি।