দ্রুত ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য অনেক মানুষ এয়ারলাইনসকে ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বিমান ভ্রমনের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে বিমান যাত্রা ১০০ ভাগ নিরাপদ এমনটা বলা যায় না, কারণ বিগত কয়েক মাস ধরে একের পর এক বিমান দুর্ঘটনার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।
সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে গো ফস্টার একটি বিমানের সাথে। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, GoFirst বিমান বেঙ্গালুরু থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। হঠাৎ অতিরিক্ত গরমের অ্যালার্ম বেজে ওঠে। বিমানটি কোয়েম্বাটুরে জরুরি অবতরণ করে।
বিমানটিতে ৯২ জন যাত্রী ছিলেন। জানা গেছে, চেন্নাইয়ের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পাইলট হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের অ্যালার্ম শুনতে পান। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে এই ধরনের অ্যালার্ম বাজে। বিমানটি দ্রুত কোয়েম্বাটোর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। টেকনিশিয়ানরা পরীক্ষার পর ইঞ্জিনে কোনো সমস্যা পাননি বলে জানা গেছে। অত্যধিক গরমের অ্যালার্মের সাথে সম্ভবত একটি সমস্যা আছে যা অকারণে শোনা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উড়োজাহাজটি ওড়ার জন্য ছাড়পত্র পায়।
গো ফার্স্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে দুপুর ১২টার দিকে পাইলট অতিরিক্ত উত্তাপের অ্যালার্মের শব্দ শুনতে পান। তিনি দ্রুত অবতরণের অনুমতির জন্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সাথে যোগাযোগ করেন। বিমানটিকে কোয়েম্বাটুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সম্ভাব্য বিপদের ক্ষেত্রে ফায়ার ইঞ্জিন এবং অ্যাম্বুলেন্স রানওয়েতে মজুত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সবার প্রয়োজন ছিল না। কিছুক্ষণ পর বিমানটিকে আবার ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। মুখপাত্র আরও বলেন, জরুরি অবতরণের পর বিমানটিতে তল্লাশি চালানো হয়। এটা কিছুই মেলেনি. আগুনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সকল যাত্রী নিরাপদে এবং আবার তাদের গন্তব্যের পথে।
মাঝ আকাশে বিমানের সমস্যার ঘটনা প্রথম পর্যায়ে যাত্রীদের কাউকে জানানো হয়নি। পাইলট কাউকে বুঝতে দেয়নি বিমানের এমন সমস্যা। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি, অবতরণের পড়ে যাত্রীরা জানতে পারে বিমানে সমস্যার কারণে জরুরি অবতরণ করা হয়েছে। বিষয়টি গোপন রাখায় যাত্রীদের মধ্যে কোন প্রকার গোলযোগ সৃষ্টি হয়নি। এ বিষয়ে বিমানের পাইলট জানায়, ঘটনাটি যাত্রীদের কাছে উপস্থাপন করা হলে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তো তাই কাউকে প্রথম পর্যায়ে ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়নি।