গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সমাবেশে বিএনপি’র ৭ জন সংসদ সদস্য সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ কারণে ঐ সাতটি আসনে সংসদীয় পদ খালি হয়ে গেল। যার কারণে নতুন করে ওই আসন গুলোতে নির্বাচন দেবে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচনের জন্য ৯০ দিন অপেক্ষা করবে না, বলে জানান তিনি। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, বিএনপির পদত্যাগ করা সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পেয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া হচ্ছে আমরা বৈঠকে বসব। বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কখন নির্বাচন হবে এবং তফসিল ঘোষণা করা হবে।
আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, সর্বোচ্চ ৯০ দিন। খুব শিগগিরই আমরা শিডিউল দেব ইনশাআল্লাহ। যেহেতু এটি ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আরেক নির্বাচন কমিশনার আজ ঢাকার বাইরে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থাকবেন। পরশু হয়তো আসতে পারে। এরপর বৃহস্পতিবার আমাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হতে পারে। মিনিমাম সময় যেটা দিতে হয় সেটি হয়তো দিয়ে দেবো। আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করব না। কারণ আগামী সাধারণ নির্বাচনের আর এক বছরের বেশি বাকি। সেই হিসাবে, আমি ৯০ দিনের আগে এটি দেব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে সব নির্বাচন করতে হয়। তবে ন্যূনতম সময় দিতে হয়। কারণ মনোনয়ন জমা দেওয়ার একটা সময় আছে, নির্বাচন করার একটা সময় আছে, প্রত্যাহারের একটা সময় আছে, প্রচারের একটা সময় আছে। এর জন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে তারিখ ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা হয়তো বৃহস্পতিবার অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসতে পারি। নথির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বা ফাইল পুটআপ হতে পারে। তাহলে আর বৈঠকের প্রয়োজন হবে না।
জাতীয় নির্বাচনের আগে সাত সংসদ সদস্যের পদত্যাগ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমাদের কাজ রেফারি হওয়া। আমরা মাঠ প্রস্তুত রাখব, গ্যালারি প্রস্তুত রাখব। আমরা সবকিছু প্রস্তুত রাখব, খেলোয়াড়রা খেলতে আসবে।
মাঠে আসার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব কিন্তু যারা এটির আয়োজন করে তাদের। সরকার এবং রাজনীতিবিদদের। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা মাঠ তৈরি করব, গ্যালারি তৈরি করব।
খেলোয়াড়রা আসুক বা না আসুক আপনারা শুধু মাঠ প্রস্তুত রাখবেন? জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, খেলোয়াড়রা অবশ্যই আসবে। সব খেলোয়াড় আসতে পারবে না হয়তো। যাদের প্রস্তুতি নেই তারা নাও আসতে পারে। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। সব দল নির্বাচন করবে কিনা সেটা বলা যায় না।
এদিকে রাজনৈতিক দল বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও জানিয়েছে কবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে এবং সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে নির্বাচন কমিশনকে পুতুল কমিশন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি।