বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জাতীয়তাবাদী বিএনপি দল। এই দলটি দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি নিজ দলের নেতাক্রমীদের চলমান পরিস্তিতি নিয়ে বেশ কিছু কথা বললেন বিএনপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভ/য়া/বহ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তা আর বলার প্রয়োজন নেই।’ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘কর্তৃত্ববাদী শাসনে অধিকারহীনতা ২০০৭-২০২১’ শিরোনামে এক সেমিনারে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে গঠিত বিএনপির জাতীয় কমিটি সেমিনারটির আয়োজন করে। ‘গু/ম’ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আট বছর ধরে আমরা এই পরিবারগুলোর কান্না শুনছি। আমরা শিশুদের কান্না শুনেছি। এখনো তাঁদের শিশুরা অপেক্ষা করে থাকে, কখন বাবা ফিরে আসবে। এ রকম একটা ভ/য়া/বহ ম/র্ম/স্প/র্শী পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি। বাংলাদেশে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তা আমাদের বারবার বলার প্রয়োজন নেই।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আজ ন্যূনতম চিকিৎসার অধিকার পাচ্ছেন না। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটা কথা খুব পরিষ্কার, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র—এ দুটো পরস্পরের পরিপূরক। গণতন্ত্র ছাড়া মানবাধিকার কোনো দিন রক্ষা হতে পারে না। আর মানবাধিকার ছাড়া কখনো গণতন্ত্র চলতে পারবে না।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রায় ৬০৭ জন গুম হয়েছে। আমাদের সহস্রাধিক রাজনৈতিক কর্মীকে হ/ত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মা/ম/লা হয়েছে। আপনি ঢাকা কোর্টে যান, জেলা আদালতগুলোতে যান, দেখবেন, যাঁরা আসামি হয়ে আসছেন, তাঁদের ৯০ ভাগই বিএনপির নেতা-কর্মী।’
দেশের বিচার বিভাগ ও প্রশাসন দলীয়করণ করার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে বিচার বিভাগের ওপর এ দেশের মানুষ কোনো আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, বিচার বিভাগের কাছে মানুষ কোনো বিচার পাচ্ছে না। প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হচ্ছে, গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বলতে কোনো দ্বিধা নেই, আজ যাঁরা গণমাধ্যমকর্মী আছেন, তাঁরা সবচেয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে এখন কথা বলার স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে এই দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা এবং বেগম জিয়ার পরিবার। এছাড়াও বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি দলের নেতাক্রমীরা।