বাংলার জাতির পিতা শেখ মুজিবরের ভাষণ ছিল ঐতিহাসিক ভাষণ। যেই ভাষণের দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়ে বাংলার মানুষ পাক হানাদার বাহীনির কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা। তিনি ভাষণ না দিলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতো না। সম্প্রতি জানা গেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে শত শত ভুল রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি।
সংবিধানে ঢোকানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে শত শত ভুল রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিচারক ড. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ২০২০ সালের ১০ মার্চের সংবিধানে ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ৭ মার্চের ভাষণের সময় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এ কমিটিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সংবিধানের পঞ্চম তফসিলের ভাষণ সংক্রান্ত সব অডিও-ভিডিও পর্যালোচনা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সঠিক ভাষণ কেন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি তারিক উল হাকিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ২০২০ সালের ৫ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভুল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। এ ছাড়া সংবিধানে পূর্ণাঙ্গ ভাষণ বাংলা ও ইংরেজিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাওয়া হয়।
রিটে বিবাদী করা হয় আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের ।
বাংলাদেশের জাতির পিতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপ্রতি ছিলেন। শেখ মুজুবর রহমান বাংলার মানুষের কাছে আদর্শ এবং সেই সাথে বাংলার মানুষের গৌরবও। তার অবদান চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে বাংলার মাটিতে।