যুক্তরাষ্ট্রের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের নাম শোনেনি এমন লোক খুব কমই আছে বিশ্বে। এবার এই বিল্ডিংটির চেয়েও লম্বা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। ৭৫-মাইল জুড়ে এই কাচের আকাশচুম্বী ভবনটি নির্মিত হবে যেটা হবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী চিত্তাকর্ষক একটি ভবন যার নির্মাণে খরচ হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। নির্মাণকাজ শেষ হলে এই ভবনে ৫০ লাখ মানুষ বসবাস করতে পারবেন।
সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মোহাম্মদ বিন সালমান ‘মিরর লাইন’ নামের পরিকল্পনাটি উন্মোচন করেন। যুবরাজ সালমান দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে মিশরীয় পিরামিডের মতো আইকনিক এবং কালজয়ী নির্মাণ প্রকল্প তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তার বক্তব্য- মিরর লাইন প্রকল্প একটি সভ্যতাগত বিপ্লব এবং এই প্রকল্প সৌদি আরবের জনগণকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মরুভূমিতে তৈরি হবে এই বিশাল ভবন। এটি সৌদির স্বপ্নের শহর নিওম সিটির অংশ হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের কাছাকাছি আকারে তৈরি হবে।
এমবিএস নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন সালমান ২০৩০ সালের মধ্যে মিরর লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ করতে চান। তবে, প্রকৌশলীরা বলেছেন যে প্রকল্পটি শেষ হতে কমপক্ষে ৫০ বছর সময় লাগতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনুসারে, মিরর লাইন দুটি ১৬০০ ফুট উঁচু ভবন দিয়ে নির্মিত হবে। ভবন দুটি মরু, উপকূল এবং পাহাড়ের পাদদেশ মিলে ৭৫ মাইল এলাকায় একে অন্যের সঙ্গে সমান্তরালভাবে থাকবে। আকাশচুম্বী ভবনটি আকাবা উপসাগর থেকে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে উপকূল বরাবর একটি মরুভূমি পর্যন্ত প্রসারিত হবে। যুবরাজ সালমান বলেন, ভবনগুলো হবে সম্পূর্ণ কার্বন নিরপেক্ষ এবং স্থানীয় পরিবেশের উপযোগী।
এই ভবনটি নির্মাণের জন্য দেশটির কয়েক হাজার প্রকৌশলী একসাথে কাজ করবে। এই বিশালাকৃতি ভবনটি হবে বিশ্বের অন্যতম ভবন যা হবে ভবিষ্যৎ প্রতিকূল আবহাওয়ায় বসবাসের উপযোগী। ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আবহাওয়া কেমন হবে সে বিষয়টি মাথায় রেখে এই ভবনটি নির্মাণ কাজ করার পরিকল্পনা করেছেন দেশটির সিংহাসনের উত্তরাধিকারী।