ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। শনিবার সকালে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এসব রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলার প্রথম টো মিনিটে হামাস বলেছে যে তারা ৫ ,০০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে তেল আবিব থেকে জানানো হয়েছে।
জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইল। হামলায় অন্তত ২৫০ ইসরায়েলি নিহত এবং ১ ,৫০০ আহত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, ১৯৪৮ সালের পর- অর্থাৎ গত ৭৫ বছরে দখলদার ইসরায়েলের এমন পরিস্থিতি আর কখনো হয়নি।
বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন বলেছেন, ১৫ বছর আগে হামাস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। কিন্তু এই 15 বছরে তারা এমন কিছু করেনি। মাঝেমধ্যেই ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তবে তারা মূলত পশ্চিম তীরে। এই পশ্চিম তীর জেরুজালেম থেকে জর্ডান সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।
শনিবার সকালে শত শত হামাস যোদ্ধা কীভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছিল তা ইসরায়েলিরা কখনো কল্পনাও করেনি। এছাড়া হামাসের সদস্যরা যেভাবে চেকপয়েন্টে ইসরায়েলি সৈন্যদের ধরে নিয়েছিল তা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন কঠোর সামরিক অবস্থান নিল হামাস? আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হামাস এই সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
হামাসের মুখপাত্র খালেদ কারামি আল-জাজিরাকে বলেছেন যে “অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম” পরিচালনা কয়েক দশক ধরে ইসলামপন্থী দখলদারিত্ব, শোষণ ও বঞ্চনার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো এবং সারা বিশ্বের জনগণ আমাদের ওপর চালানো নৃশংসতার কথা জানুক। আমরা চাই ইসরায়েলিরা আমাদের জনগণ এবং আমাদের ভূমি, আমাদের পবিত্র প্রার্থনা কেন্দ্র আল-আকসা থেকে তাদের দখল থেকে সরে আসুক। বছরের পর বছর পুঞ্জীভূত অত্যাচার ও দখলদারিত্বের জবাবে আমরা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করি।
তিনি ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও শোষণের অবসানে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে হামাসের সামরিক কমান্ডার মুহাম্মদ দেইফ বলেছেন, আমরা অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম শুরু করেছি। এই অভিযানের মাধ্যমে বিশ্ব থেকে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে।
তিনি সকল দেশপ্রেমিক ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।