বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের জাতীয় নেতা। তাকে বাংলাদেশ সৃষ্টির রুপকার বলা হয়ে থাকে। এই নেতাকে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে হ/ত্যা করে ঘা/ত/ক দল। তার শিশু পুত্র রাসেলও রক্ষা পায়নি ঘা/ত/ক/দে/র হাত থেকে। আজ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ এর সেই ঘটনা তুলে ধরে শেখ রাসেল প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন।
শিশুরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে গড়ে উঠুক- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবসের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। ছোট ভাই রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসেল ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের নিয়ে প্যারেড করতো। সে বড় ভাই শেখ জামালের মতো সে/না অফিসার হতে চাইতো। বেঁচে থাকলে আজকে হয়তো সে/না/বা/হি/নীর বড় অফিসার হতো। ৭৫ হ/ত্যা/কা/ণ্ডে/র চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সেদিন রাসেল মায়ের কাছে যাবো বলে কান্না করছিল। তাকেও হ/ত্যা করা হলো। আমার একটাই প্রশ্ন এ শিশুটির কী অপ/রা/ধ ছিল? শেখ হাসিনা বলেন, ৭১ ও ৭৫ শিশুদেরও হ/ত্যা করেছে ঘা/ত/কে/রা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে ২০০১ সালের নির্বাচনে। আবার ২০১৩ সালে বাসে আগুন দিয়ে শিশু/স/হ মানুষ পু/ড়ি/য়ে হ/ত্যা/র পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আমরা এটা চাই না, শিশুরা অকালে ঝরে যাক। শিশুরা গড়ে উঠুক সুন্দর পরিবেশে। বাংলাদেশকে আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, শিশুরা আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে গড়ে উঠুক। তাদের প্রতিভা বিকশিত হোক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করুক। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষায় নিজেদের উন্নত করে গড়ে তুলুক, সেটাই আমরা চাই। এসময় শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে। শিক্ষা এমন এক সম্পদ কেউ নিতে পারবে না। শিশু রাসেলের নাম করণের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের পরিবারে পাঠাভ্যাস ভালো ছিল। সবাই বই পড়তো, পড়ে শোনাতো। আব্বা নোবেল লরিয়েট বার্ট্রান্ড রাসেলের ফিলোসোফি মাকে শোনাতেন। তার ফিলোসোফি ব্যাখ্যা করতেন। তিনিও সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। সে থেকে তার নাম রাসেল রাখা হয়।
১৮ই অক্টোবর শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন। আওয়ামীলীগ দল দেশ জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দিনটি উদযাপন করছে। এমনকি এই দিনটিকে ঘিরে আজ সারা দিন ব্যাপী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পাশাপাশি এর সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।