বাংলাদেশের গানের জগতে যে কয়জন জীবন্ত কিংবদন্তি রয়েছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন রুনা লায়লা। রুনা লায়লাকে গানের পাখি বলেও চিনে থাকবেন অনেকে।সঙ্গীত জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। আজকের এই দিনে ৭১ বছর বয়সে পা দিলেন গানের পাকি রুনা। রুনা লায়লা সঙ্গীতের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয় করিয়ে দেন।
দীর্ঘ পাঁচ দশকে অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সফলভাবে। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ঘরানার কয়েক হাজার জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।
তার জন্মদিনে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘এটি আপনার বিশেষ জন্মদিন, ৭০ তম।’ রুনা লায়লার জবাব, না! ৭০ কোথায়? ১৭ (হাসি)! আমি এটা থাকতে চাই.
৭০ বছর একটি বিশেষ সংখ্যা, আপনি কি এটি আলাদাভাবে ভেবেছেন? তিনি বলেন, ৭০ বছরের চিন্তা ভীতিকর! ঈশ্বরকে হাজার শুকরিয়া, আমি সুস্থ আছি এবং এখনও কাজ করছি, গান করছি। শ্রোতাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর আশীর্বাদই হয়তো আমাকে সুস্থ রেখেছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
রুনা লায়লা বলেন, জন্মদিন মানে আরও একটি বছর বেঁচে থাকা। আমি সুস্থ ছিলাম এবং বেঁচেছিলাম। ভাবি, এ জীবনে যা পেয়েছি তা অনেক। আমি মনে করি না আমি এতটা যোগ্য। তাই বলতে পারি, অর্জন প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। পেছনে তাকালে মনে হয় এ সবই কি আমার অর্জন?
সবচেয়ে বড় কথা দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা, দোয়া, শ্রদ্ধা, আশীর্বাদ অল্প কিছু মানুষের ভাগ্যে। দেশ-বিদেশের সংগীতপ্রেমীরা যে সম্মান ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা বিস্ময়কর। এটা সত্যিই আমার উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত। আমি মানুষের হৃদয়ে, তারা প্রতিনিয়ত প্রার্থনা করে, ভালবাসা প্রকাশ করে – অভাবের কোনও অবকাশ নেই।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংগীত শিল্পীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই সমান তালে কাজ করে গেছেন একটা সময়ে ভারত পাকিস্তান আর বাংলাদেশে। সারা বিশ্বে তার রয়েছে অসংখ্য গুণগ্রাহী আর ভক্তবৃন্দ।