তিনি ছয়বার বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু পঞ্চম বিয়েতে তিনি নিজেকে কুমারী দেখিয়েছিলেন। বিয়ে তার নেশায় পরিণত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর শহরের চালাপাড়া এলাকায়। আর সেই তরুণী হলেন আবদুর রশিদের মেয়ে রোকসানা আক্তার শিলা।
ইসলামপুর পৌরসভার নাটারকান্দা এলাকার বাসিন্দা জাকিউল ইসলাম ওরফে তিব্বতের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানের সঙ্গে ষষ্ঠ রোকসানা আক্তার শীলার বিয়ে হয়। এরপরই বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে শীলার বিয়ে হয়েছে। যে নারী বিয়ের জন্য পাগল পুরুষদের টাকা দিয়ে টার্গেট করে, প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিয়ে করে। তার কাবিনকালে বর-কনের কোনো সাক্ষী লাগে না। তিনি দালালদের মাধ্যমে এসব বিয়ের সাক্ষী হিসেবে কাজ করেন।
শীলার শ্বশুর ও ষষ্ঠ সাথী মেহেদী হাসানের বাবা জাকিউল ইসলাম ওরফে তিব্বত জানান, রোকসানা আক্তার শিলা আমার একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে কৌশলে বিয়ে করে।
২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ২০ লাখ টাকার কেবিনে বিয়ে হয়। পরে মেহেদী শীলার পরিচয় সংগ্রহ করে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন শীলার আরও পাঁচটি জায়গায় বিয়ে হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, টাকার জন্য শীলা শুধু বিয়ে করে সব ছেলেকে পেয়েছে। ২ জানুয়ারি শীলা তার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
এসব অভিযোগের জবাবে রোকসানা আক্তার শিলা বলেন, আমি ছয়টি বিয়ে করিনি, দুটি বিয়ে করেছি। তবে সমিতির পক্ষ থেকে কাজী তার ছয়টি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন।
ইসলামপুর থানার ওসি মাজেদুর রহমান জানান, রোকসানাকে বিয়ে করার পর মেহেদী হাসান জানতে পারে মেয়েটির আগে পাঁচবার বিয়ে হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।