দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বিদ্যালয়ে একদিনও হাজিরা দেননি প্রধান শিক্ষক। নিয়েছিলেন দুই মাসের ছুটি এরপর লাপাত্তা হয়ে যান। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে যাচ্ছেন, কিন্তু তিনি চাকরিতেই এখনও ভাল রয়েছেন। এই প্রধান শিক্ষকের নাম নাজমা খাতুন যিনি রংপুর জেলার গঙ্গাচড়ায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগে অভিযোগ করার পরও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমন অভিযোগ স্কুলের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে বা যাচ্ছে কি না, পাঠদান কার্যক্রম চলছে কি না তা দেখার কেউ নেই। অভিভাবক এবং তরুণ ছাত্র-ছাত্রী সহ সকলের একই কথা। এই লাখেরাজটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভালো শিক্ষা নেই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা জুনিয়র শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলছেন, শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, মূলত আমাদের প্রধান শিক্ষক আমাকে ২ মাসের ছুটির কথা বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে চলে যান। কিন্তু দীর্ঘ ৬ বছর পার হলেও তিনি ফিরে আসেননি।
রংপুর লাখেরাজটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এতদিন পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন রংপুর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজাহেদুল ইসলাম।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর, তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে তার স্বামীর সাথে দেখা করতে পরের বছর জুলাই মাসে দুই মাসের ছুটি নেন। পরে তিনি তার ছুটি আরও দুই মাস বাড়িয়ে দিলেও গত ৬ বছর ধরে ফেরেননি।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অভাবে শিক্ষার মান তেমন ভালো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শিক্ষা কর্মকর্তার উচিত এখানে একজন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে পদটি পূরণ করা। যেহেতু আগের প্রধান শিক্ষক দেশে নেই তাই তার স্থানটি অন্য কাউকে দিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা উচিৎ।