Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / International / ৬ দিন ৬ রাত না খেয়ে শুধু আশ্রয় খুঁজেছি আর হেঁটেছি: ইউক্রেন ফেরৎ যুবক

৬ দিন ৬ রাত না খেয়ে শুধু আশ্রয় খুঁজেছি আর হেঁটেছি: ইউক্রেন ফেরৎ যুবক

রাশিয়া ও ইউক্রেনের( Ukraine ) মধ্যে সৃষ্ট সংকটে ইউক্রেনে থাকা অনেক বিদেশি নাগরিক জীবন বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করছেন। দেশটিতে আটকে পড়েছে বাংলাদেশ( Bangladesh ), ভারতসহ( Including India ) অনেক দেশের বহুসংখ্যক নাগরিক। সবাই জীবন বাচাতে ছোটাছুটি করছে। রাশিয়ার( Russia ) হা”মলায় ইউক্রেন নাগরিক সহ বিশ্বের অনেক দেশের বহুসংখ্যক মানুষ প্রয়াত হয়েছেন। অনেক বিদেশী নাগরিক তাদের জীবন নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে পড়া রোগের চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে তাঁত ব্যবসা। এই ব্যবসা ছেড়ে ইউরোপে( Europe ) পাড়ি জমান ভারতের একজন ব্যক্তি। তিনি প্রথমে ইউক্রেনে চলে যান।

সেখানেও শনি( Sat. ) কপাল কাটেনি। যু”দ্ধ শুরু হয়। আর আয় তো দূরের কথা, জীবন বাঁচানোই দায়।

রাশিয়ার হেলিকপ্টার থেকে বো’/মা পড়ার ভয়ে ৬ দিন ধরে নিরাপদ জায়গা খোঁজেন তিনি। ৬ দিন ৬ রাত( Night ) না খেয়ে শুধু আশ্রয় খুঁজেছি আর হেঁটেছি, বিশ্রাম নেই। যু”দ্ধবি’/ধ্বস্ত ইউক্রেনে তিনি একসময় বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।

অবশেষে তিনি দেশের বিমানে উঠলেন যেন দেশে ফিরে নতুন জীবন পেয়েছেন। দেশে ফিরে যু”দ্ধের এমন ভ”য়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন ঐ ভারতীয়। তার নাম সমীর( Samir ) বিশ্বাস। তিনি নদিয়ার শান্তিপুর থানার গাবরচর( Gabarchar ) এলাকার বাসিন্দা।

ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে অপারেশন গঙ্গা নামে একটি অভিযানে বেঁচে যান সমীর( Samir )। বৃহস্পতিবার( Thursday ) তিনি দেশে ফিরেছেন।

বাড়ি ফিরে সমীর( Samir ) অনেকটা প্রাণ ফেরৎ পাওয়া কণ্ঠে বলেন, “যেদিন যু”দ্ধ শুরু হয়েছিল, সেদিন দশ-বারোটি হেলিকপ্টার আমাদের এলাকার আকাশে বো”/মা ফেলেছিল। আমরা সবাই নিরাপদে সরে এসেছি। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা স্টেশনে গেলাম। এবং কেউ ট্রেনের টিকিট পায়নি। আমি ট্রেনে উঠতেও পারিনি। আমি অনেক টাকা ধার করে ট্যাক্সি ভাড়া করি। কী হবে বুঝতে পারছিলাম না। বো”মা এড়াতে ট্যাক্সি ড্রাইভার ঘুরে দাঁড়াল এবং আমাদের নিয়ে গেল অন্য রাস্তায়।

কারো কারো মতে, ইউক্রেন সীমান্তে গিয়েও হয়রানি শেষ হয়নি। পোল্যান্ডে ভারতীয় দূতাবাসে পৌঁছানোর জন্য তাদের ৪০ কিলোমিটারের বেশি হাঁটতে হয়েছিল।

সামির বললেন, আমরা পোলিশ সীমান্তে যাই। কিন্তু আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি। তারপর আমরা শুনি যে তাদের সীমান্তের ওপার থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপর সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার হাঁটা। আমাদের ৬ দিন ৬ রাত কেটে যায়। খাবার বা বিশ্রাম ছাড়াই আমাদের এই দিনগুলি কাটাতে হয়েছিল। অবশেষে যখন আমরা ভারতীয় দূতাবাসে পৌঁছাই তখন আমরা নিরাপদ বোধ করি।

দেশ দুটির চলমান সংকটে জীবন কতখানি কষ্টের কতখানি দুর্বিষহের তা শুধু যারা এর মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন তারাই বলতে পারেন। যু”দ্ধের জীবন কতটাই অসহায় জীবন তা বলাটাই অনেক কঠিন। এই পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনকে ফেলে দেয় অনিশ্চয়তার মধ্যে। তেমনি ঘটে গিয়েছে ভারতের সমীর বিশ্বাস এর জীবনে।

About bisso Jit

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *