সম্প্রতি রেলওয়ের নানা অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের শুরু করেন ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে কমলাপুল রেলওয়ে স্টেশনে। পরে তার দাবিতে ঐক্যমত প্রকাশ করে তার সাথে যোগ দিন অন্যান্য শিক্ষার্থী। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ আন্দোলনের পর রেলওয়ের কতৃপক্ষের সাথে আলোচনার শেষে তিনি আন্দোল স্থগিতের ঘোষনা দেন। এবার সেই দাবির নিয়ে রাজশাহী রেলস্টেশনে গেলেন রনি ৬ দাবি প্রসঙ্গে যা বললেন।
রেলের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধে যাত্রীদের সচেতনতা বাড়াতে এবার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গণসংযোগ করেছেন ৬ দফা দাবিতে আন্দোলনকারী ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী রেলস্টেশনে লিফলেট বিতরণ, প্রতিবাদী গান ও পারফর্মিং আর্টের মাধ্যমে রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ জানান তিনি।
এ সময় তিনি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদারের সঙ্গেও দেখা করেন। মহিউদ্দিন রনিও তার কাছে ৬ দফা দাবি তুলে করেন। মহাব্যবস্থাপক তার দাবিকে সম্মান জানিয়ে গণসংযোগের সময় তার সঙ্গে রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেও যান।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, “হঠাৎ রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে রনির সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তার ৬ দফা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাত্রীদের স্বার্থে তার দাবিগুলো বিবেচনার দাবি রাখে। রেলওয়ে ইতোমধ্যে কাজ করছে।তবে বর্তমান দৃশ্যপটে রনির আবির্ভাবে সেই কাজগুলো আরও গতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে গণসংযোগের জন্য রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আসেন মহিউদ্দিন রনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে তার ৬ দফা দাবি নিয়ে চলা আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে রেলস্টেশনে গণসংযোগে যোগ দেয়।
প্রসঙ্গত, মহিউদ্দিন রনি রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা্র বিরুদ্ধে আন্দোলনের ৬ দফা দাবি বিষয়ে নিয়ে রাজশাহী রেলস্টেশনে গেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরসহ অনেক শিক্ষার্থী তার সাথে যোগ দান করেন। এ সময়ে রাজশাহী রেলওয়ের কতৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।