আবারো উত্তাল ভারতের আসাম রাজ্যে। এবার বিয়ের বয়স আর বাল্যবিবাহ নিয়ে সেখানে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। কারন হিসেবে জানা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের আসাম রাজ্যে বিয়ের বয়স ও বাল্যবিবাহ নিয়ে তোলপাড় চলছে। সেখানে এখনও হাজার হাজার মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছর বয়সের আগেই। আর এই বিয়ে ঠেকাতে নতুন আইন করছে রাজ্য।
একই সঙ্গে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছেন যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এর মধ্যেই নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিয়ের পর মা হওয়ার জন্য মহিলাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত নয়। কারণ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করলে মাতৃত্ব সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে। খবর এএনআই-এর।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মন্ত্রী অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নির্দিষ্ট বয়সের আগে কারো সন্তান প্রসব করা উচিত নয় উল্লেখ করে ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, আমরা অকাল মাতৃত্বের বিপক্ষে। কিন্তু মনে রাখবেন, সবকিছুর একটি নির্দিষ্ট বয়স আছে। তাই জটিলতা যোগ না করে, মাতৃত্বের জন্য ২২ থেকে ৩০ বছর বয়স একেবারে আদর্শ।
এদিকে বাল্যবিবাহ রোধে আসামে কঠোর আইন আনা হচ্ছে। যদিও নারীদের বিয়ের জন্য আইনগত ন্যূনতম বয়স ১৮, কিন্তু আসামের ৩১ শতাংশ মেয়ে তার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। তাই বাল্যবিবাহ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্ব রোধে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে আসাম সরকার।
এটা জানা যায় যে আসামের যুবকরা যারা ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করে তাদের পকসো আইনের অধীনে বিচার করা হবে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা নিয়ে এখন ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। অনেকেই আবার এই বিষয়টি দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে হাজার হাজার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হবে। কারণ বিবাহিত হলেও ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক করা আইনত অপরাধ।