র্যাব এবং র্যাবকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এই বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা যেন থামছেই না। একের পর এক নতুন নতুন সব তথ্য সামনে আসছে। এ দিকে এ নিয়ে এবার নতুন করে কথা বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) সমর্থন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নেড প্রাইস এসব কথা বলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাব এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাত সাবেক ও বর্তমান সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে র্যাব গঠন করা হয়েছে এবং তারাই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাওয়া হলে, নেড প্রাইস বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য তথ্য এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে, আমরা ২০১৮ সাল থেকে র্যাবকে সমর্থন করা বন্ধ করে দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন যে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের অধীনে, আমরা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাতজন প্রাক্তন এবং বর্তমান সিনিয়র অফিসারকে অনুমোদন দিয়েছিলাম। নিষেধাজ্ঞার আগে আমাদের সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরে নেড প্রাইস বলেন, বাংলাদেশে হোক, দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশ হোক বা বিশ্বের যে কোনো দেশেই হোক, আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়টিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।আর সেই থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। এ নিয়ে নেড প্রাইস আরো বলেন, র্যাব এবং বাহিনীতে সাতজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছে বাহিনীতে জবাবদিহিতা ও সংস্কার নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা।