সম্প্রতি একটি বিষয় নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্ট হয়েছে সারা দেশে। আর এই বিষয়টি হলো একজন গরিব ব্যবসায়ীর মৃত্যু। আর এই ঘটনা নিয়ে অনেক তোলপাড় চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাহাঙ্গীর। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
জাহাঙ্গির ভাইয়ের স্ট্যাটাসের সাথে আরেকটা পুরান মন্তব্য করতে চাই। আবরার হত্যার পর আমার এক বুয়েটের বন্ধু, আমাকে বলেছিল বিএনপি আমলে ছাত্র লিগ, ছাত্র দল মারামারি করতো। তাদের সাহস ছিলনা সাধারন ছাত্রদের উপরে আঘাত করার। সে একটা উদাহরন দিয়েছিল, সনি হত্যাকারি মুকির এক সাগ্রেদকে ক্যান্টিনে মাস্তানি দেখানোর অপরাধে সাধারন ছাত্ররা ধরে গনপিটুনি দিয়েছিল, মুকি গ্রুপের সাহস হয় না, কোন কথা বলার। তারা ঘটনাটা জাস্ট এড়ায় গ্যাছে।
কিন্তু আমার বন্ধুর অব্জারভেশান ছিল, আওয়ামী লিগ আমলে ছাত্রলিগ ধীরে ধীরে সাধারন ছাত্রদের উপরে চড়াও হয়েছে।
বাংলাদেশের সাধারন মানুষের জীবনেও এখন তাই ঘটতেছে। পুরো দেশের পুলিশ, ছাত্র লিগ, যুবলীগ এখন সাধারন মানুষের উপরে চড়াও হয়েছে।
জাহাঙ্গির ভাইয়ের , অব্জারভেশানটাও তাই।
—-
আজকের একটা ঘটনা সবার নজর এড়ায় গেসে। (সোর্স কমেন্টে)৫লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের জন্য পুলিশ তার কাস্টডিতে টর্চার করে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলসে। এটা বিচার বহির্ভূত খুন। রাজনৈতিক কারন না হলেও পুলিশের চাঁদাবাজীর টার্গেট পুরা করতে গাজীপুরে এভাবে বিভিন্ন মানুষ কে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং টর্চার করে পরিবার থেকে টাকা আদায় করা হয়।
যিনি মারা গেসেন তিনি গরীব মানুষ। ৫দিন আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করসে তার ওপর। তার মৃত্যুর পরও তার স্ত্রীর কাছ থেকে তারা ৮৫হাজার টাকা নিয়ে, সাদা কাগজে সাইন রেখে দিসে। এবং স্বামীকে তার স্ত্রীর হাতে দেয় নাই। বরং রাতে তারা জানায় যে, কিডন্যাপ করা স্বামীকে তারা ছেড়ে দিসে কিন্তু রাস্তা পার হতে গিয়ে নাকি রোড এক্সিডেন্টে মারা গেসে।
তার হ *ত্যার সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে গাজীপুরের জনগন রাস্তা অবরোধ করে ও সম্ভবত পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়। এটা কেওটিক সিভিল ডিসঅবিডিয়েন্স। গরম কাল আসার সময় যখন বিদ্যুৎ, পানি, ও গ্যাসের সংকটের সাথে খাবার ও তেলের দাম বৃদ্ধি যোগ হবে, তখন এই কেওটিক সিভিল ডিসঅবিডিয়েন্স বারুদে লাগা আগুনের মত জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে।
একটা জিনিস মনে রাখবেন, আওমীলীগের পতন কিন্তু শুধুই বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে হবে না। বিএনপি অহিংস পথে আগাচ্ছে। তারা কিন্তু লীগের পতনের জন্য রাজনৈতিক সহিংসতার ডাক দিয়ে, কেওস তৈরি করবে না। বরং আওমীলীগের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সহিংস আপরাইজ হতে পারে এরকম ঘটনা থেকে। মাশা আমীনির মাথায় আঘাত করে খুন হওয়া বা তিউনিশিয়ার বোয়াজিজির গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেওয়া, এরকম ঘটনা থেকেই কেওটিক আপরাইজ শুরু হয়।
আমি অনুরোধ করবো, এই গরীব মানুুষগুলির বিচারবহির্ভূত খু**র বিপক্ষে জনগনের পাশে দাঁড়ান। পুলিশের কাস্টডিতে খুনের জন্য ওই থানার সব লোকদের কে গ্রেপ্তার ও তাদের ডিসব্যান্ড করার দাবী জানান।
মিডিলক্লাস যদি এই গরীব ব্যবসায়ীদের জানমালের রক্ষার জন্য এই পুলিশদের গ্রেপ্তার, থানার সবাই কে ডিসব্যান্ড করা, ও খুনী পুলিশের বিচারের দাবীতে এক না হয়, তাহলে এই প্রান্তিক মানুষরা নগর-বন্দর জ্বালায়া খাক করে দিবে, যে আগুনে আওমীলীগের গদির সাথে মিডিলক্লাসের আবাসও বাদ যাবে না।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় এখন শোকের ছায়া বইছে সবখানে। বিশেষ করে ওই ব্যক্তির পরিবারে এখন এ নিয়ে চলছে বেশ প্রলাপ। অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।