রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মিথিলা আক্তার ও তার চাচাতো বোন সড়ক দুর্ঘটনায় আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে এসে এক ব্যক্তির লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর একের পর এক প্রিয়জনের লাশ দেখে হতবাক দুই চাচাতো বোন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইনসাফ আলীকে চিনতে পেরে চিৎকার শুরু করেন মিথিলা। ইনসাফ আলী সম্পর্কে মিথিলার চাচা।
মিথিলা জানান, নিহত সবাই তার আত্মীয়। চাচাকে চিনতে পারিনি। বলেই আহাজারি শুরু করেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর তেল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম জানান, রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে একটি অটোরিকশার সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এরপর ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে প্রবেশ করে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন নাটোরের বাকিদেবপুরের বাসিন্দা হাসান আলীর স্ত্রী পারভীন বেগম, শাহমুকদম কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শারমিন, নাটোরের বাসিন্দা আইয়ুব আলী লাবু, অটোরিকশাচালক মোখলেছুর ও ইনসাফ আলী। এছাড়া আহত যুবকের নাম হৃদয়। তাকে রামেক হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।