চুরি হওয়া এটা কিছু নতুন কোন ব্যাপার না। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের জিনিস আমরা চুরি হতে দেখি প্রায় সময়। চোরেরও আছে আবার প্রকারভেদ কেউ বড় মাপের চোর, কেউবা ছুটকা চোর। মোবাইল, টাকাপয়সা, ঘরের আসবাবপত্র ইত্যাদি প্রায় সময়ই বিভিন্ন জায়গায় চুরি হওয়ার মতো খবর দেখা যায়। তবে এমন কি শুনেছেন একটা আস্ত ব্রিজ চুরি হওয়ার মতো খবর! সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
৫৮ ফুট দীর্ঘ ওই সেতুর খোঁজে হন্যে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, সেতুটিতে ব্যবহৃত উপাদান বিক্রির জন্যই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফক্স-৮-এর বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওহাইও অঙ্গরাজ্যের লিটল কুয়াহোগা রিভার নামের এক নদীসংলগ্ন মিডলবারি রান নামের একটি পার্কে পথচারীদের যাতায়াতের জন্য ব্রোঞ্জ দিয়ে ওই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুটি কীভাবে চুরি করে নিয়ে যাওয়া হলো, সেটা বুঝতে পারছে না স্থানীয় পুলিশ। জলাভূমি সংস্কারের অংশ হিসেবে নেওয়া একটি প্রকল্পের অধীনে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে সেতুটি পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পুনর্নির্মাণের অংশ হিসেবে পাশেই সিবার্লিং স্ট্রিট নামের একটি সড়কের পাশে একটি মাঠের ভেতর সেতুটির পুরো অবকাঠামো নিয়ে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে, সেই সেতু চুরি হয়ে গেছে। তবে কবে কখন থেকে সেতুটি উধাও, তা তারা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আকরন বিকন জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, চোরেরা কয়েক ধাপে সেতুটি চুরি করেছে। প্রথমে তারা সেতুটির অবকাঠামোটি খুলে আলাদা করে। এরপর সেগুলো নিয়ে যায়।
পুলিশের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট মাইক মিলার বলেন, সেতুটি এমনভাবে তৈরি করা, যেটি খুলে ফেলা সহজ হয়েছে। পুলিশ বলেছে, তারা নিশ্চিত নয় সেতুটি দিয়ে চোরেরা কী করতে চায়। তবে এই সেতুর উপাদান দিয়ে অন্য কাজ করা যাবে।
এ বিষয়ে মিলার বলেন, সেতুটি বাগান ঘেরা ও অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পুলিশের ধারণা, সেতু যে বিক্রি করা যায়, সেই ধারণা প্রমাণ করতেই চাইছে চোরেরা। সেতু চুরির ঘটনার কোনো তথ্য থাকলে তা দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
আসলে চুরি কে করল আর কিজন্যই বা করল সে সব কোন তথ্যই এখনো পাওয়া যায়নি। যদিও ধারণা করা হচ্ছে বিক্রির উদ্দেশ্যে চুরি করা হয়েছে সেতুটি। তবে আস্ত একটা সেতু চুরি এটা আসলে একটি বিরল ঘটনা এবং সেইসাথে হাস্যকরও। চোরের কি উদ্দেশ্য ছিল কেনই বা এমন কান্ড ঘটালো সেটাও জানা যায়নি, কারন চোরকেই এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত শেষে চোর পাওয়া গেলে হয়তো এসব রহস্যের উদ্ঘাটন ঘটবে।