গেল সোমবার (১৭ অক্টোবর) দেশের ৬১ টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয় জেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতেই ভোট কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলছেন পরাজিত প্রার্থীরা। আর এর ধারাবাহিকতার মধ্যে দিয়ে এবার ভোট হেরে বিতরণকৃত টাকা ফেরত চেয়ে আলোচনায় এলেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম নাম এক প্রার্থী।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার রফিকুল ইসলাম আইডি থেকে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন।
প্রায় ৫৫ জন ভোটার তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু ভোট দিয়েছেন মাত্র সাতজন। অন্যদের নেওয়া টাকা ফেরত চেয়েছেন ওই প্রার্থী।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসে রফিকুল লিখেছেন, “জেলা পরিষদ নির্বাচন (বাসাইল) সদস্য-১১। আমরা চারজন প্রার্থী ছিলাম। ভোটার ছিল ৯৪ জন। দিন শেষে জানা গেল, প্রত্যেক প্রার্থী ৫০ থেকে ৬০ জন ভোটারকে টাকা দিয়েছেন। তার মধ্যে আমাকে ৬০ জন ভোটার কথা দিলেও এর মধ্যে কম-বেশি ৫৫ জন ভোটার আমার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করল। ভোট দিল মাত্র ৭ জনে। এই হলো ভোটারদের আসল চরিত্র। পৃথিবীর সব কিছুই একবার দেখলে চেনা যায়, শুধু মানুষ বাদে। আমাকে যারা ভোট দেননি মনে হয় আপনাদের নামের তালিকা হওয়ার আগে আমার টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। আপনারা না জনপ্রতিনিধি! ভোট আপনি যাকে খুশি তাকে দেন, এটা আপনাদের অধিকার, তাই বলে টাকা নিবেন চারজনের কাছ থেকে ভোট দিবেন একজনকে। এটা কেমন চরিত্র আপনাদের? আপনাদের কাছ থেকে আপনার এলাকার জনগণ কী সেবা পেতে পারে? আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করে মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করো। ”
পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে টাকা ফেরত দিতে চেয়ে ফোন দিয়েছেন। অনেকেই রাতের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এ জন্য আমি স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নিয়েছি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আর কোন দিন নির্বাচন করব না। ’
এদিকে এ বিষয়ে বাসাইলের প্রিজাইটিংযের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নির্বাচনের আগে তিনি টাকা বিতরণ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
Police should arrest him as soon as possible.