তাদের দুজনের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ৩২ বছরেরও বেশি। কিন্তু তাদের বয়সের এই বিপুল ব্যবধান, দুজনের প্রেমে কোনরূপ বাধা হতে পারেনি। ২০ বছর বয়সী প্রেমিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৫২ বছর বয়সী তার শিক্ষকের। তাদের বয়সের এই ব্যাপক ফারাক হলেও সেটা তাদের জীবনে এক সাথে চলার পথে বাধা হতে পারেনি। পাকিস্তানি জুটির এই প্রেম কাহিনী নিয়ে দেশটিতে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
জোয়া নূর বি.কম-এর ছাত্রী। সাজিদ আলী তার শিক্ষক। পড়তে পড়তেই শিক্ষককে মন দিয়ে ফেলেন জোয়া। সাজিদের ব্যক্তিত্ব তাকে আকর্ষণ করে। তাই বয়সের ফারাক কাটিয়ে প্রেমের জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়েছেন এই তরুণী।
তবে পঞ্চাশ বছর বয়সী সাজিদ হঠাৎ করে জোয়ার প্রেমে পড়েননি। তিনি প্রথমে মেয়েটির প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু জোয়ার ভালোবাসার টানে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি সাজিদ। অবশেষে তিনিও প্রেমে পড়েন। আর তখনই দুজনের চার হাত এক হয়। জোয়া এবং সাজিদ এক ইউ’টিউবারকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে তাদের প্রেমের গল্প শেয়ার করেছেন।
জোয়া জানান, কলেজেই তিনি সাজিদকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমে তা প্রত্যাখ্যান করেন সাজিদ। আমাদের মধ্যে ৩২ বছর বয়সের ব্যবধান। সাজিদ জোয়াকে বলল, আমরা বিয়ে করতে পারব না।’ তবে মনের মানুষকে কাছে পেতে জোয়ার ছিল নাছোড়বান্দা মনোভাব। তাই প্রথমে সাজিদ তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও ভেঙে পড়েননি তিনি। ছাত্রীকে বিয়ে করার ব্যাপারেও সাজিদের কোনো গোঁড়ামি ছিল না। সিদ্ধান্ত নিতে এক সপ্তাহ সময় নেন সাজিদ।
এই অসম বয়সী প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবার আপত্তি জানায়, কিন্তু পরিবারের নেতিবাচক সিদ্ধান্তের পরেও তারা একসাথে জীবন চলার সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে তারা দাম্পত্য জীবন যাপন করছেন এবং বেশ সুখে-শান্তিতেই এক সাথে পথ চলছেন।