এমনিতেই তারকাদের উপার্জনের পরিমান নিয়ে সাধারন মানুষের কৌতূহলির শেষ নেই। প্রায় সময় এরই সুবাধে তারকা ব্যক্তিদের উপার্জিত অর্থের পরিমান প্রকাশ্যে উঠে আসে। এছাড়াও তাদের লাইফষ্টাইল নিয়ে নানা তথ্য প্রকাশিত হয়ে থাকে বিভিন্ন মাধ্যমে। সম্প্রতি বলিউড সিনেমার পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাট নিজের উপার্জনের সাথে মেয়ে আলিয়া ভাটের উপার্জনের তুলনা করে বেশ কিছু কথা জানালেন।
বলিউডের এই সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। করণ জোহরের হাত ধরে ২০১২ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ দিয়ে অভিষেক করেন তিনি। এখন তিনি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাধিক বার পেয়েছেন ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। ঝুলিতে আছে জাতীয় পুরস্কারও। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে আলিয়ার বাবা তথা নামী পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাট বলিউডে মেয়ের সাফল্য সম্পর্কে জানান। বলেন, ‘ও বাবা-মায়ের পরিচয়ে পরিচিত নয়। ও নিজেই একটা আগুন। যদিও আমি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, তবে আমরা সবসময় ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে থাকতাম। আমাদের বাড়ি ফিল্ম পার্টির ব্যবস্থা ছিল না।’ মহেশ বলেন, ‘আমি জীবিকা নির্বাহের জন্য চলচ্চিত্র বানাই এবং সেগুলোই আলিয়ার মধ্যে তৈরি হয়েছে। ও খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করে, তবে ওর গভীর সহানুভূতিও রয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় দর্শক ভর্তি। একজন অভিনেতা হতে অনেক সাহসের প্রয়োজন হয়। যারা ফিল্ম বানায় তাদের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। যা আসে তাই গ্রহণ করে এবং তারপর উঠে আবার নতুন করে শুরু করে। এটি বিশেষত তাদের জন্য সত্য, যারা খুব অল্প বয়সে সাফল্যের বিশাল উচ্চতা অর্জন করে। আলিয়া সেই ছোট্ট মেয়েটা, যে ৫০০ টাকার জন্য বাবার পায়ে ক্রিম মাখতো। পরিচালক হিসেবে গত ৫০ বছরে আমি যা আয় করেছি, মাত্র দুই বছরে আলিয়া তার থেকে বেশি আয় করেছে’। ২০১২ সালে করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন আলিয়া। এরপর ‘হাইওয়ে’, ‘টু স্টেটস’, ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ এবং ‘রাজি’র মতো ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেছেন।
বর্তমান সময়ে বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন আলিয়া ভাট। এমনকি তিনি স্বল্প সময়ে বলিউডে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও ২০১৯ সালে বলিউডের সেরা এবং নামি দুই অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে পরাজিত করে আলিয়া ফোর্বসের সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায় সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেত্রী হিসেবে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।