৫০ বছরের সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন মেজর ডালিম, ভিডিওসহ

রবিবার (৫ জানুয়ারি) সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিশেষ লাইভে যুক্ত হন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম)। “বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)” শিরোনামের এই আলোচনা মুহূর্তেই অনলাইনে ভাইরাল হয়।

লাইভে মেজর ডালিম বলেন, “মুজিব মারা যায়নি, বরং তিনি একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। বাকশালের পতনের পর কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে শুকরিয়া আদায় করেছিল।”

তিনি আরও দাবি করেন, “শেখ মুজিব তার শাসনামলে এমন স্বৈরাচারী আচরণ করেছিলেন যে, সাধারণ মানুষ তার জুলুম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিল।”

মেজর ডালিম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎকালীন পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে যায় এবং নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে, তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে ছিলাম। মেজর জিয়ার সেই ঘোষণার পর মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়ি।”

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় মেজর ডালিমের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

এই লাইভে মেজর ডালিম মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং তার নিজের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরাসরি কথা বলেন। ভিডিওটি নিয়ে অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।


হাসনাত আব্দুল্লাহকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিন ইয়ামিন, সমালোচনা তুঙ্গে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। রাজধানীর শাহবাগ থানার সামনে রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিন ইয়ামিন বলেন, “হাসনাত আব্দুল্লাহ জানেন না আন্দোলন কীভাবে চলেছে বা পরিচালিত হয়েছে। তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন এবং নিজেই বলেছেন যে তারা ডিজিএফআইয়ের নজরদারিতে আছেন। যদি সত্যিই নজরবন্দি থাকেন, তাহলে আন্দোলন কীভাবে পরিচালিত হলো, তা তিনি জানেন না।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আন্দোলনের প্রকৃত চালিকাশক্তি ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির, ছাত্রদল, এবং অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সেই নেতৃবৃন্দ যারা ডিজিএফআইয়ের কাছে মাথানত করেনি, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই।”

বিন ইয়ামিন আরও উল্লেখ করেন যে কিছুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন, “একদফার অনেকেই বিরোধিতা করেছে।” তিনি বলেন, “এটি তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে কেন এখনো বাংলাদেশে সংহতি হচ্ছে না।”

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনারা এখন নায়ক। কিন্তু খলনায়ক হতে বেশি সময় লাগবে না। বিপ্লবের চেতনাকে পুঁজি করে কেউ ধান্দাবাজি করবেন না। প্রতারণার চেষ্টা করবেন না। বিপ্লবের স্পিরিটকে যারা ধারণ করে তাদের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। কিন্তু যারা বিপথগামী, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।”

সরকার ও উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বিন ইয়ামিন বলেন, “আমরা আপনাদের রক্ত ও জীবন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছি। যদি কোনো চাপ অনুভব করেন, তাহলে আমাদের জানান। অন্যথায় আমরা আস্তে আস্তে সব কথা প্রকাশ করব।”

তিনি আরও বলেন, “যারা বিপ্লবী মুখোশ পরে আছেন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে এবং তাদের উন্মুক্ত বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবেই প্রকৃত বিপ্লবীরা বাঁচবে। নইলে বিপ্লবীরা ধ্বংস হবে।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি তাদের আন্দোলনের নেপথ্য কাহিনী এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন।