৭ জানুয়ারির নির্বাচন কীভাবে হবে- অংশগ্রহণমূলক নাকি গ্রহণযোগ্য। রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণমূলক ভোটকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করলেও বিশ্লেষকদের মতে, ভোট গ্রহণযোগ্য হতে হবে। ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হওয়া গেছে যে প্রায় ৮০% নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তারপর নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর ভোট আর প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। তবে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকার ও কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর বর্জনের ঘোষণার মধ্যে ৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচনমুখী আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি বড় রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে চলছে উৎসবের আমেজ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৬টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিএনপিসহ নিবন্ধিত নব্বইটি দল এখনো বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড়। বাকি ৯০টি দল এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে তাদের অধিকাংশই শর্তসাপেক্ষে নির্বাচনে আসার পক্ষে।
সে হিসেবে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবুও কারো কারো প্রশ্ন, বিএনপি ছাড়া এ ভোট কতটা অংশগ্রহণমূলক হবে!
বিশ্লেষকরা বলছেন অংশগ্রহণমূলক সংজ্ঞা আপেক্ষিক। যেখানে বিএনপি মনে করে, বর্জন করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। আবার আওয়ামী লীগসহ সমমনা ব্যক্তিরা বলছেন, সব কিছু নির্ভর করছে ভোটারের ওপর।
তবে এমন বাস্তবতায় ভোট প্রতিহতের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানই বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সাব্বির আহমেদ। তার মতে, ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করা গেলে তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ফলে এ দফায় হয়ত উৎরে যাবেন ক্ষমতাসীনরা। সেক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক নয়, তারা এগিয়ে থাকবে ভোটের গ্রহণযোগ্যতায়।
তবে দেশে চলমান সহিংসতা ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের আচরণও ভোটে প্রভাব ফেলবে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলো নমনীয় হলে যে কোনো সময় প্রেক্ষাপট বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তফসিল পেছানোর সুযোগ থাকতে পারে।