যখন শত শত ছাত্রীদের মধ্যে একজন মাত্র ছাত্র তখন পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন অবস্থায় যায়। আর সেখানে যদি ঐ ছাত্র মানসিক দিক থেকে একটু দূর্বল হয় তাহলে স্নায়বিক দূর্বলতা মাত্রারিতিক্ত অবস্থায় পৌছাতেই পারে। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটলো ভারতের একটি এলাকায়। যেখানে ঐ ছাত্রকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৫০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একমাত্র ছাত্র হিসেবে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন ভারতের একজন শিক্ষার্থী। আর ওই ছাত্রের আশেপাশে সকলেই ছাত্রী, আর এ কারণেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ঐ ছাত্র।
ঘটনাটি গত বুধবার ভারতের বিহারের আল্লামা ইকবাল কলেজে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রের নাম মণি শঙ্কর। তার বয়স ১৭ বছর। তিনি পরীক্ষার হলে এসে জানতে পারেন, ৫শ শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনিই একমাত্র ছাত্র। এতে করে একপর্যায়ে তিনি পরীক্ষার হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
তার এক আত্মীয় জানান, তিনি পরীক্ষার হলে গিয়েছিলেন, সেখানে এত মেয়ে দেখে তার চলে আসে।
আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার চিকিৎসা চলছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শশী ভূষণ প্রসাদ বলেন, অভিভাবক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে ছেলেটির প্রবেশপত্রে তার জেন্ডারের জায়গায় পুরুষের পরিবর্তে মহিলা উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ধরনের ভূলের বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। অনেকে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল তাকে আলাদাভাবে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা নিয়ম ভাঙতে সাহস করেনি। তাই সেখানে তাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।