জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য অন্য একজনের প্রক্সি দিতে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে গ্রেফ’তার হয়েছে এক শিক্ষার্থী।
আজ (বুধবার) অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ ভবন হতে তাকে জালিয়াতি করার অভিযোগে আ’টক করা হয়। আটকের বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। টাঙ্গাইল সদর উপজেলাধীন উত্তর তারুটিয়া নামক গ্রামে তার বাড়ি। অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল উৎস’র (১৯) ওই এলাকার প্রয়াত শওকত মিয়ার ছেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ থেকে মোস্তফা কামালকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা কামাল বলেন, আশিক ও ফরহাদ নামে আমার দুই বন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটে জা’লিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। ‘ডি’ ইউনিটে তাদের মেধাক্রম ছিলো ৭৯ ও ২৪৯। তাদের মাধ্যমে জানতে পারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম নামে এক ভাইয়ের মাধ্যমে তারা ভর্তি হয়েছে।
মোস্তফা কামাল আরও বলেন, আশিক ও ফরহাদের মাধ্যমে মেহেদী ভাই ও শামীম ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তাদের সঙ্গে জাবিতে চান্স পাওয়ার জন্য ৪ লাখ টাকায় চুক্তি হয়। পরে আমার প্রবেশপত্র নিয়ে আমার পক্ষে অন্য একজন গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় আমার মেধাক্রমে ৩০০ আসে। তারপর চুক্তি অনুযায়ী পুরো টাকা পরিশোধ করে দিই।
আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে রয়েছেন তিনি জানান, এ ঘটনায় আশুলিয়া থা’নায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে পু’লি/শ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রতা’র’ক চক্রের সাথে যারা রয়েছে তাদেরও আটক করার চেষ্টা চলছে।