Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / National / ৪ ব্যবসায়ীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে, মার্কেটে তালা

৪ ব্যবসায়ীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে, মার্কেটে তালা

সম্প্রতি গত কয়েক মাস ধরেই বেশ আলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তবে যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন সমালোচনা তাকে ঘিরে ধরছে। জানা গেছে, এবার ৪ ব্যবসায়ীকে মারধর ও মার্কেটে তালা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রীতিমতো বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এ ঘটনার শিকার ব্যবসায়ীরা হলেন, মোহাম্মদ আলী (৬৮), রহমানিয়া ফার্মেসীর আব্দুর রহমান (৬৪) রহীম উল্যাহ রিটু (৩৪) কেবি সুজ শোরুমের মালিক মফিজুল হক মিন্টু (৫৯)।

এদিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বসুরহাট বাজারে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কর্তৃক পরিচালিত স্কাউট ভবন মার্কেটের সামনে মোটরসাইকেল পার্কিং ও ফল দোকান থাকার অভিযোগে মার্কেটের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয়।

এছাড়া বসুরহাটের রুপালী চত্বরের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল চৌধুরী ও তার ভাই সফিউল চৌধুরীর মালিকানাধীন দুটি মার্কেটে তালা মেরে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পরে দুপুরের দিকে মার্কেটের তালা খুলে দেয়া হয় বলে জানা যায়। শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বসুরহাট বাজারের কলেজ রোড ও বসুরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সামনে এসব ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বসুরহাট রোডের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে অবস্থিত রহমানিয়া ফার্মেসীতে হঠাৎ সকাল ১১টার দিকে ১০-১৫জন অনুসারীকে নিয়ে উপস্থিত হয় কাদের মির্জা।

এ সময় তিনি ওই ফার্মেসীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন চৌধুরী সহ বিএনপির কয়েকজন নেতা বসার অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুর রহমান ও তার ছেলেকে মারধর করেন।

এ ছাড়াও কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ গ্রুপের অনুসারী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্নার বাবা মোহাম্মদ আলীকে তার দোকানের সামনে দোকানের জিনিস পত্র রাখার অভিযোগ তুলে মারধর করে কাদের মির্জা। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ভয়ে নাম প্রকাশ করে গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না জানান, আমি এলাকার বাহিরে অবস্থান করছি। আমার বাবার ওপর হামলার বিষয়ে লোক মুখে শুনেছি। বাবার নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বার বার ফোন করলেও ফোন বন্ধ পাচ্ছি। বাবার সাথে কথা বলে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

এদিকে এ অভিযোগের আলোকে বিস্তারিত জানতে শনিবার সন্ধায় কাদের মির্জার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে তার কাছ থেকে কিছুই জানা সম্ভব হয়নি।

তবে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া বলে আশ্বাস দিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার।

About

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *