যুক্তরাষ্ট্র তার তথাকথিত নীতির বিরুদ্ধে গেলে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দুবার চিন্তা করে না। সম্প্রতি দেশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড নতুন গতি পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার তিনটি প্রতিষ্ঠান ও একজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষে/পণাস্ত্র হস্তান্তর ও পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত তিনটি রুশ কোম্পানি এবং একজন ব্যক্তির ওপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অ/স্ত্র হস্তান্তরের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা একটি যৌথ বিবৃতি জারি করার দুই দিন পর এই নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ আসে।
রয়টার্স বলছে, ইউক্রেন সং/ঘাতের শুরু থেকেই মস্কো ও পিয়ংইয়ং হাত মিলিয়েছে। তবে উভয় দেশ তাদের মধ্যে অ/স্ত্র চুক্তির কথা অস্বীকার করেছে।
কিন্তু ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে বলেছেন,
আমরা আরও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না। উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষে/পণাস্ত্র হস্তান্তর করে রুশ আগ্রাসনকে সমর্থন করেছে। যা ইউক্রেনের জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত বছরের সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তারাও কয়েকবার পিয়ংইয়ং সফর করেছেন। পশ্চিমারা এসব ভালোভাবে নেয়নি।
নতুন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে, হোয়াইট হাউস সম্প্রতি বলেছে যে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একাধিক হা/মলা চালানোর জন্য উত্তর কোরিয়া থেকে প্রাপ্ত স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষে/পণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পরে দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।