মানুষ তখনি তার কর্মের ফল পায় যখন তার অপরাধের পরিমাণটা বেড়ে যায় সীমাহীনভাবে। একজন মানুসের একটা বিয়ে করাটাই ভালো বলে মনে করেন সবাই। তবে একজন মানুষের সামর্থের ওপরে সেটা নির্ভর করে। সব দিক বিবেচনা করে একজন মানুষ একের অধিক বিয়ে করতে পারে তবে সেটা পরিস্থিতি বুঝে। বিয়ে করাটা কোনো অন্যায় কাজ না কিন্তু অন্যায়জনক কাজে জড়িয়ে পড়াটা হলো অপরাধ। সম্প্রতি জানা গিয়েছে ২৫ বছরেই চার বিয়ে, বউ চলে যাওয়ায় যুবক নিলেন ঘটকের প্রাণ।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্ত্রীকে ফেলে রেখে ঘাতককে কুপিয়ে প্রাণনাশের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবকের নাম আলমাস (২৫)। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার দিগার ইউনিয়নের মানাজী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রয়াত বৃদ্ধের নাম মো. আব্দুল জলিল (৬৫)। সে একই গ্রামের বাসিন্দা। আসামি আলমাসের বাবার নাম শহিদুল। আলমাস করাতকলের কাজ করে।
নিহতের ভাতিজা আব্দুল বাছেদ জানান, আলমাস এর আগে তিনবার বিয়ে করেছে। কিন্তু কোনোটাই স্থায়ী হয়নি। পরবর্তীতে, ২০১৯ সালে আমার চাচা রসুলপুর ইউনিয়নের আটগ্রাম, পাচারে আলমাসকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানও জন্মেছে। চতুর্থ স্ত্রীও ২০২১ সালে প্রয়াত হন। এ নিয়ে আলমাস আমার মামা ঘটক আবদুল জলিলের ওপর রাগান্বিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল দুপুরে জোহরের নামাজের পর আলমাসের নানী আয়তন বেগমের বাড়িতে আমার চাচা পান করতে বসেন। এ সময় আলমাস ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে নিয়ে আসতে বলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মামার মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করতে থাকে। আমার চাচা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঘাটাইল থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, নিথরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২৫ বছর বয়সটা আসলে খুব একটা বেশি নয়। এই অল্প বয়সে এতগুলো বিয়ে করা আসলেই খুব আশ্বর্যজনক একটি ব্যাপার। জানা গেছে ঐ যুবক বিয়ে করার পর যেকোনো কারণে হোক বউ তাকে ছেড়ে চলে যায়। এই নিয়ে তার মধ্যে ঘটকের উপর খুব প্রতিহিংসার তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সেই প্রতিহিংসা কেড়ে নিল ঘটকের প্রাণ।