দীর্ঘ দিন সাফল্যের দেখা না পাওয়ায় আস্তে আস্তে দেশের ফুলবল অঙ্গন দুর্বল হয়ে পড়েছে। অথচ এটিকে চাঙ্গা করার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তবে দেশের মহিলা ফুটবলাদের সাফল্যে দেশের মানুষ যে আনন্দ উৎসবে মেতেছে তা আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না। এতো বড় সাফল্য দেশকে বিরাট উচ্চতায় পৌছে দিয়েছে। আর এই সাফল্যকে সামনে রেখে দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসার কথা বলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আমি না খেললে দেশের ফুটবলটারে বেইচ্ছা লাইবো মন্তব্য করে যা বললেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ৪৫ বছর বয়সে আমার কিন্তু ফুটবল খেলার কথা না। স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেয়েছি। এরপরও শুধু একটা কারণে সব ব্যথা ভুলে গেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি না খেললে দেশের ফুটবলটারে বেইচ্ছা লাইবো এক্কেবারে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের উমেদ আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল ম্যাচ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন আকবপুর শততারা ফুটবল একাডেমি বনাম ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির খেলা হয়। খেলায় ২-০ গোলে জয়লাভ করে সুমনের দল।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা দেখিয়েছেন, যত্ন করা হলে তাদের রত্ন বানানো সম্ভব। বাংলাদেশের ছেলেদের চারটা খাওয়ালে পড়ালে কম্বোডিয়ার মতো দেশকে হারিয়ে দিতে পারে। আমাদের রক্তের মধ্যে উন্মাদনা আছে, কিন্তু আমাদের নষ্ট করছেন নেতারা।
তিনি বললেন, আপনার কাছে আরেকটা অনুরোধ করি। দোয়া করবেন ফুটবল পুনরুজ্জীবিত না হওয়া পর্যন্ত, আল্লাহ যেন আমাকে এই পৃথিবী থেকে না নিয়ে যান।আামি খেলেতেই থাকবো।
এ সময় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমি নেতা হতে পারলে চুনারুঘাট, কীভাবে একটা এলাকাকে মালয়েশিয়া বানাতে হয়।
বক্তব্যের শেষদিকে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, আমি তরুণ প্রজন্মকে ধন্যবাদ জানাই। তোমরা পড়ালেখাটা ঠিকমতো করো। আমি যেহেতু উপরে উঠতে পেরেছি, তোমরাও পারবা। শুধু পড়াশোনাটা করে যাও। দেখবে, আমরা সবাই মিলে সোনার বাংলা বানিয়েই ছাড়বো।
এদিকে ফুটবল ম্যাচটি দেখতে হাজির হন হাজার হাজার মানুষ। খেলা শুরুর আগেই দর্শকের চাপে স্কুলের একটি টিনের চালা ভেঙে পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হন।
খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তালজাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু জাহেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান বাবুল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া (শাহীন), নারী ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া (চাঁন মিয়া), উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
আরো উপস্থিত, তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (লাকী), তাড়াইল প্রার্থীভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম, নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল মালেক (স্বপন)।
প্রসঙ্গত, দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার সন্মলিত প্রচেষ্টার কথা বলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন, ফুটবলের সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।