বর্তমান সময়ে অনলাইন মাধ্যমের প্রভাব বিস্তার ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই মাধ্যমে ফলে ঘরেই বসেই মানুষ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারছে। তবে এই সুযোগ-সুবিধার মধ্যেই নানা ধরনের অসুবিধা রয়েছে। একটি চক্র নিজেদের স্বার্থ হাছিলের লক্ষ্যে এই মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের প্রতারনা করছে। সম্প্রতি এমনি এক ঘটনা উঠে এসেছে প্রকাশ্যে।
দোকানে গিয়ে কেনাকাটার হ্যাপা অনেকেই পোহাতে চান না। তাই অনলাইনে কেনাকাটা আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনলাইনে ৪৫০ টাকার কেক কিনতে গিয়ে ৬০ হাজার টাকা খুইয়েছেন এক নারী চিকিৎসক। ভারতীয় গণমাধ্যম শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মুম্বাই বাসিন্দা ওই নারী চিকিৎসক বন্ধুর জন্মদিনে কেক কেনার জন্য গুগল থেকে সেখানকার এক বিখ্যাত বেকারির যোগাযোগের নাম্বার নেন। কিন্তু ভুল করে এক প্র/তা/রকের নাম্বারে ডায়াল করেন তিনি। ওই প্রতারক কেকের দাম বাবদ প্রথমে তার অ্যাকাউন্টে ৪০০ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৪০০ টাকা) দিতে বলেন। এর পর ওই চিকিৎসককে রিসিপ্টের জন্য ২০ রুপি এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১৫,২৩৬ রুপি দিতে বলেন। প্রতারক ওই নারীকে জানান, শিগগিরই এই অর্থ তাকে ফেরত দেওয়া হবে।
কিন্তু পরে লেনদেনে ভুল হয়েছে দাবি করে ওই প্র/তা/রক তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন আরও ৩৮ হাজার ৪৭২ রুপি। এভাবে ওই প্রতারক তার ৫৩ হাজার রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার টাকা) হাতিয়ে নেন। প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বুঝতে পেরে ওই চিকিৎসক ব্যাংকে বিষয়টি জানান এবং পুলিশের কাছে গিয়ে এফআরআই দায়ের করেন। তবে শেষমেশ তিনি তার অর্থ ফেরত পেয়েছেন কী না তা জানা যায়নি। গত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন বেকারি, রেস্টুরেন্ট, অনলাইন শপিং কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের নাম করে প্রতারকরা অনলাইনে তাদের নাম্বার দিয়ে রাখেন। গ্রাহক কোনো সেবা পাওয়ার জন্য ফোন করলে অগ্রীম লেনদেনের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন তারা।
বর্তমান সময়ে রেস্টুরেন্ট সেবাও অনলাইন মাধ্যমে প্রচালিত হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে একটি অসাধু চক্র বেশ সক্রীয় রয়েছে এই মাধ্যমে। এবং নানা কৌশলে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমানের অর্থ। এক্ষেত্রে এই অনলাইন মাধ্যম থেকে সেবা গ্রহনের জন্য বিশেষ ভাবে সর্তক থাকা খুবই জরুরি।