গতকাল রাজশাহীতে ঘটে গেছে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। ট্রাফিক সার্জেন্টের উপর রাগ করে নিজের শখের বাইকটি পুড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এ নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে সবখানে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীতে সড়কে মোটরবাইক অবরোধের প্রতিবাদে আশিক আলী (২৫) নামে এক যুবক নিজের বাইকে আগুন দিয়েছেন। সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট অক্টোরয় মোড়ে বাইকে আগুন দেয় সে।
ক্ষুব্ধ প্রেমিকের বাড়ি মহানগরীর উপকণ্ঠে কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায়। বাবার নাম আসাদ আলী। আশিক ছয় মাস আগে একটি নতুন মোটরবাইক কিনেছেন। এখনও নিবন্ধন করেননি.
আশিক আলী জানান, তিনি পেশায় বালু ব্যবসায়ী। তিনি একটি ভারতীয় ব্র্যান্ডের TVS Apache RTR-160cc বাইক চালাতেন। ছয় মাস আগে টিভিএস রাজশাহী ডিস্ট্রিবিউটর থেকে নতুন বাইকটি কিনেছি।
আগুন দেওয়ার আগে আশিকসহ তিনজন বাইকে চড়েছিলেন। এ সময় আশিকের মাথায় হেলমেট ছিল না।
আশিক আলী বলেন, “নতুন বাইট কেনার পর গত ছয় মাসে ট্রাফিক পুলিশ আমাকে পাঁচ-ছয়টি মামলা দিয়েছে। আমি প্রায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছি। সার্জেন্ট কাগজ চাইলে সেখান থেকে আনতে চাই।” বাসায় গিয়ে দেখাও।কিন্তু সার্জেন্ট আমাকে সময় দিতে চায়নি।তাই রাগে বাইকে আগুন ধরিয়ে দিলাম।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আবদুল কাইয়ুম ওই সময় কোর্ট অক্ট্রয় মোড়ে ডিউটিতে ছিলেন। সে বাইক থামিয়ে কাগজপত্র চায়। এছাড়া সার্জেন্ট কাইয়ুম জানতে চান কেন তারা তিনজন নিয়ে বাইক চালাচ্ছেন এবং কেন তাদের হেলমেট নেই। বিষয়টি নিয়ে সার্জেন্ট কাইয়ুমের সঙ্গে আশিকের কথা কাটাকাটি হয়।
আরএমপির মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, ট্রাফিক আইন না মানার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ কারণে বাইকটিও জব্দ করা হচ্ছে। তখনই আশিক বাইকের তেলের লাইন খুলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম নয়। এর আগেও রাজধানী ঢাকায় পাঠাও চালক ঘটিয়েছিলেন এমন ঘটনা। সে সময়েও ঘটনাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে সবখানে।