যুবকের মহিলাদের সাথে খারাপ কাজের কৌশল অনেকটা চ’মকে দেওয়ার মতো। ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলাধীন কুর্শা খাগাউড়া নামক গ্রামে। তিনি পড়াশুনা করেছেন মাত্র পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত, পেশায় ছিলেন একজন রেস্টুরেন্ট ওয়েটার। তারপর তিনি কবিরাজী বিদ্যা রপ্ত করেন ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে। চিকিৎসার সময় তিনি নারীদের ফাঁ’দে ফেলে বিভিন্ন ভাবে খারাপ ভিডিও রেকর্ড করতেন। এরপর তিনি ঐ সকল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে চাঁদাবা’জি শুরু করতেন। এমন অভিযোগে কথিত কবিরাজকে গ্রে’ফতার করেছে র্যাব। তার নাম আহাদুর রহমান।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ইমামবাড়ী বাজার থেকে তাকে গ্রে’ফতার করে র্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যা’ম্পের সদস্যরা। গত শুক্রবার (২২ অক্টোবর)এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যা’ম্পের কোম্পানি কমা’ন্ডার লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বিষয়টি জানিয়েছেন।
তারা আরো জানান, দুই বছর আগে ইউ’টিউব দেখে তিনি কবিরাজিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজারে চেম্বার বসিয়ে কু’ফরী, বান, বেদ, কন্নি, যা’দু, চালান, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, বিবাহ না হওয়াসহ নানা বিভিন্ন চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন চিকিৎসার নামে নারীদের ফাঁ’দে ফেলে অ’/শ্লী’ল ভিডিও ধারণ শুরু করেন। পরে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন বলেও জানিয়েছে র্যাব।
শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে আহাদুর রহমান বর্তমান সময় পর্যন্ত ৩০-৪০ জন নারীর বিভিন্ন ধরনের আপ’ত্তি/কর ছবি তোলা ও ভিডিও করার পর ঐ সকল নারীদের নিকট টাকা চাইতেন। এই ঘটনার বিষয়ে তিনি স্বীকার করেছেন। র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন নারী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এবং তারই প্রেক্ষিতে তাকে গ্রে’ফ/তার করা হয়েছে।