বিপুল পরিমানের যাত্রী নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি চরে আটকা পড়ে। এতে লঞ্চের একটি অংশ হেলে পড়ে। পরে এমভি সুরভী-৭ লঞ্চ যাত্রীদের তুলে নিয়ে যায়।মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চে। চাঁদপুরের পশ্চিম মোহনপুরের কাছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মেঘনার ডুবোচরে ৪০০ যাত্রী নিয়ে এমভি সুন্দরবন-১১ নামে একটি লঞ্চ আটকা পড়েছে। তবে মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) মধ্যরাতের এ ঘটনায় আটকেপড়া লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার করেছে এমভি সুরভী-৭ নামে অপর আরেকটি লঞ্চ। ৪০০ যাত্রী নিয়ে মেঘনার ডুবোচরে লঞ্চ আটকা এর আগে রাতে এ ঘটনা ঘটে মোহনপুর এলাকার উল্টো দিকের একটি ডুবোচরে। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি জানান, গভীর রাতে রাজধানী সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ওই লঞ্চটি মোহনপুর এলাকার উল্টো দিকের একটি ডুবোচরে আটকা পড়ে। এ ঘটনার পর মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকেপড়া লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, এমভি সুন্দরবন-১১ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে চালক মেঘনার ডুবোচরে আটকে দেন লঞ্চটি। পরে ঢাকা থেকে অপর লঞ্চ এমভি সুরভী-৭ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৪০০ যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল পৌঁছে দেয়।
উল্লেখ্য, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লঞ্চ মাস্টার আলম সরদার। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর ওই স্থানে এসে দেখেন হাইড্রোলিক কাজ করছে না। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। তিনি লঞ্চের নিয়ন্ত্রণ নিতে চরকে নেতৃত্ব দেন। সেখানেই আটকে গেল। তিনি জানান, যাত্রীদের কাছের লঞ্চ এমভি সুরভী-৭-এ নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা এখনও আটকে আছি। মূলত জোয়ার ভাটার কারণে চারণে পানি কম থাকে। ভাটার সময় লঞ্চ নামানো যায়। আমাদের লঞ্চে ৪/৫ শতাধিক যাত্রী ছিল। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে মেরামত শেষে লঞ্চটি এখন হাইড্রোলিক ত্রুটিমুক্ত।