তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে কোন কিছুই যেন চাপা থাকেনা। সাথে উন্নত হয়েছে আইন ব্যবস্থা ও। সম্প্রতি ২,৩ বছর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন হয়, সেখানে শিক্ষার্থীদের উস্কানিমূলক ঘটনার মতো তথ্য পাওয়া যায়। আটোকও করা হয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকে। শুরু হয় তদন্ত নাম আসে আরো বেশ কয়েকজনের। সম্প্রতি মিলেছে আরো আরও কয়েকটি নাম উঠে এসেছে যার ভেতর আছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যও।
ফোনালাপের মাধ্যমে উসকানির অভিযোগের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দুজনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
তিন বছর আগে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে উসকানির অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় তার নামে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দুটির প্রতিবেদন জমা দেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ।
আমীর খসরু ছাড়াও অন্য আরেকজন অভিযুক্ত হলেন মিলহানুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান। তিনি জানান, আমীর খসরুসহ দুজন আসামির নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আরেকজন হলেন, মিলহানুর রহমান। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় দুজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩ / ৫৭(২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় এ মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
পুলিশের নথি অনুযায়ী অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারা। হয়তো এবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে বিএনপি এখনো কোনো কথা বলেনি। এখন দেখার বিষয় আইন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। যেহেতু যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে, সেহেতু ধরে নেওয়া যায় তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে শাস্তি অবশ্যই হবে।