দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এরপর সাড়ে ৫টায় জানানো হয়, বাকি ১ ঘণ্টায় (বিকাল ৪টায়) ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, টোটাল ২৯৮টি আসনের রেজাল্ট যখন আসা শুরু করলো তখন ওটা যোগ করলে একটা যোগফল বের হয়, এটা কোনো কঠিন কাজ নয়। এই যোগফল একটা এক্সেলে ফেলে দিলে একটা পারসেন্টেজ বের হয়ে আসে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ তথ্য জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যখন গতকাল ২টার সময় বলি তখন এটা পুরোপুরি পার্সেন্টেজ না, আবার যখন ৪টায় সময় বলি তখনও এটা পুরোপুরি পার্সেন্টেজ না। তবে এখন সব রেজাল্ট আমাদের হাতে চলে আসছে। সেই রেজাল্টের ভিত্তিতে মোট ভোট পড়েছে ৪১.৮ শতাংশ। এটা নিয়ে কারো যদি কোনো দ্বিধা থাকে তাহলে যে কেউ এটা চ্যালেঞ্জ করতে পারে। কেউ যদি মনে করে এটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাহলে সে চ্যালেঞ্জ করলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।
প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যায় ইসি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় শতভাগ আসনের ফলাফল ঘোষণার পর নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে দলটি।
রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ২৯৮ আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসন পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা, তারা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবার পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। ২৬টি আসনের অনেকগুলোতে তারা আওয়ামী লীগের কাছে ছাড় পেয়েছিল তার অনেকগুলোতেই জামানত খুঁইয়েছে।