গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপরীতে মাঠে নামার পর একের পর এক নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে শেষমেষ ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আবারো আর্জেন্টিনাকে ফিফা বিশ্বকাপ উপহার দিলেন লিওনেল মেসি। আর সেই সাথে পূরণ হলো নিজের স্বপ্নটাও।
তবে অর্জনের বিশ্বকাপ জিতেও আসল ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবে না আর্জেন্টিনার এই দল।
আর্জেন্টিনা একা নয়, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বকাপ জয়ের পরও ট্রফি রাখতে পারবে না কোনো দল। বিজয়ী দলকে একটি ব্রোঞ্জ প্রতিমূর্তি প্রদান করা হয়। সেটাই আছে তাদের কাছে। আসল ট্রফি সুইজারল্যান্ডের জুরিখে যায়। সেখানে ফিফার বিশ্ব ফুটবল মিউজিয়ামে রাখা হয় ট্রফিটি। বিশ্বকাপের সময় এলে সংশ্লিষ্ট দেশে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয়। বিশ্বকাপের পর বিশ্বকাপের ট্রফি তার জায়গায় ফিরে আসে।
কিন্তু আগে ফিফার নিয়ম ছিল কোনো দেশ তিনবার বিশ্বকাপ জিতলে তাদের দেওয়া হবে আসল ট্রফি। ১৯৭০ সালে ব্রাজিল তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল। আসল জুলেস রিমে ট্রফিটি পেলেদেরকে দেওয়া হয়েছিল। পরে ১৯৮৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ট্রফিটি চুরি হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আর পাওয়া যায়নি। ট্রফির সোনা গলিয়ে বিক্রি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ চুরির কয়েকদিন পর ট্রফির নিচের অংশে, যা সোনা নয়, সেটা পাওয়া গেছে। সেই অংশটিও এখন সুইজারল্যান্ডের ফুটবল জাদুঘরে রাখা আছে। এই ঘটনার পর বিশ্বকাপ এসেছে নতুন ট্রফি।
এখনকার ট্রফিটা প্রথম দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। কিন্তু ১৯৮৩ সালে ট্রফি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর থেকে কোনও দেশকেই আসল ট্রফি নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। আর এরই ধারাবাহিকতার মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩৬ টি বছর পর ফিফা বিশ্বকাপ জেতার আনন্দ পেলেও আসল ট্রফি নিজে দেশে ফিরতে পারবে না মেসিরা। তবে তারা যে ‘নকল ট্রফি’ নিয়ে যাবেন সেটা দেখতে পুরোপুরি আসল ট্রফির মতোই।