বিমান পরিবহনের পরিমান বিশ্বজুড়ে কয়েক বছর আগের তুলনায় কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই সাথে মাঝে মাঝেই ঘটতে শোনা যায় বিমান দূর্ঘটনার খবর। বিমান দূর্ঘটনা সাধারনত ঘটে থাকতে শোনা যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে। অনেক সময় আবহাওয়ার খারাপ পরিস্থিতিতেও দূর্ঘটনার খবর শোনা যায়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ২০০ জন যাত্রী নিয়ে ৩৫০০০ উচ্চতা দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অনেকা হঠাৎ করে বিমানটি একটি ভয়াবহ ঘটনায় পতিত হয়। যেটা অনেকটা অনাকাঙ্খিত এবং অনেকটা অবিশ্বাস্য। বিমানের উইন্ডস্ক্রিনটিতে একটি বড় আকারের বরফের টুকরার সাথে আঘা’ত লাগে এবং সাথে সাথে সেটি ফেটে যায়।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় যাত্রীরা নিরাপদে আছেন। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে লন্ডন থেকে কোস্টারিকার উদ্দেশে পাড়ি দেয় বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি। ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থান করার সময় এক খণ্ড বরফ বিমানের উইন্ডস্ক্রিনে পড়ে। এতে দুই ইঞ্চি পুরু উইন্ডস্ক্রিনটিতে চিড় ধরে যায়। যার থেকে হতে পারতো ভয়’/ঙ্কর কিছু।
জানা যায়, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ওই বিমানের ঠিক এক হাজার ফুট উঁচুতে ছিল অন্য এক জেট বিমান। আর তা থেকেই ওই বরফ খণ্ডটি পড়তে পারে বলে ধারনা করছেন বিমানের পাইলটেরা।
উইন্ডস্ক্রিমে চিড় ধরার পর বাধ্য হয়েই ওই বিমানের পাইলট ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে বিমানের উইন্ডস্ক্রিন মেরামত করা হয়।
স্যান হোসে নামক বিমানবন্দরটিতে দূর্ঘটনায় পড়া বিমানটি বেশ নিরাপদেই নামতে সক্ষম হয়। বিমানটির গন্তব্য ছিল লন্ডন কিন্তু এতটা দূরত্বে যাওয়া ঠিক হবে না এটা বিবেচনা করেই স্যান হোসেতেই বিমানটি অবতরন করান পাইলটেরা। সেখানে বিমানটির উইন্ডস্ক্রিন স্থাপন করার জন্য ৫০ ঘণ্টা পর পূনরায় বিমানটি উড্ডয়ন করে। যার কারনে বিমানটির সকল যাত্রী নির্ধারিত সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি।