চাঁদপুরের শাহরাস্তির হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। পুলিশ ওই গ্রামের যুবকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। না দিলে তাদের ওপর নেমে আসে নি”র্যাতনের খড়গ।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের ফয়সাল হোসেন সজিব। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এলাকায় গিয়েছিলেন। গত ১২ জানুয়ারী বিকাল ৩:১০ মিনিটে হঠাৎ করে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বাধা দিতে গেলে সজিবের ১১ মাস বয়সী মেয়ে সাবার হাত ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে ভেঙে যায়।
সজিবের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি বলেছিলাম স্যার, বিনা পরোয়ানায় আমার স্বামীকে নিয়ে যাবেন না। তারপর তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে আমার ১১ মাস বয়সী শিশুর হাত ভেঙে দেয়।
সজিবকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে জানা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেবীপুর মালিবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলার আসামিরা অজ্ঞাত।
শুধু সজিব নয়, হোসেনপুরের বেশ কয়েকজন একইভাবে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ, মামলা বা অভিযোগ না থাকলেও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হচ্ছে। না দিলে নি”র্যাতন করা হচ্ছে। বর্তমানে হোসেনপুর গ্রামবাসী পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
সজিবের বাবা বলেন, ‘থানায় গেলে পুলিশ আমাকে বলে- ৩০ হাজার টাকা দে, তাইলে তোর পোলারে ছেড়ে দিমু। আমার ছেলেকে থানায় আটকে রেখে পরে ডাকাতি মামলা দিয়ে চালান করে দেয়।’
এদিকে মালিবাড়ী এলাকার ডাকাতি মামলার বাদী সজিবসহ গ্রেফতারকৃতদের চেনে না। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে একটি মামলা করছি। আমি কারো নাম বা কিছু উল্লেখ করিনি।
অন্যদিকে শাহরাস্তি থানার ওসি আলমগীর হোসেন আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।