রাজধানীর যাত্রাবাড়ী অনাবিল হাসপাতালে আল-আমিন (২৮) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার কারণে বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয় বলে তার স্বজনদের দাবি।
ঘটনার পর চিকিৎসক ও হাসপাতালের মালিক পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের স্বজনরা হাসপাতালে এসে কর্মচারীদের মারধর করে।
নিহতের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার তেজখালী গ্রামে। তার বাবার নাম দানা মিয়া। তিনি সৌদি প্রবাসী ছিলেন। দেড় মাস আগে বাড়িতে আসেন। মাসখানেক আগে বিয়ে হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই জুয়েল আহমেদ বলেন, তার ছোট ভাই আল-আমিনের নাকে পলিপাস ছিল। তার চিকিৎসার জন্য অনাবিল হাসপাতালের ডা. আবুল হাসনাতের সাথে যোগাযোগ করেন । চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। সকাল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা সেখানে থাকার পরও রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করায় রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হয়। কারণ নাকের পলিপাস অপারেশনে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগে।
পরে আমরা জোর করে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করলে চিকিৎসক বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো নয়, তাকে আইসিইউতে নিতে হবে। এ কথা বলার পর তাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় দেখা যায় রোগীর পেট ফুলে আগেই মারা গেছে। তবে হাসপাতালের কর্মীরা তাকে ধানমন্ডি রেনেসাঁ হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নিহত আল-আমিনের স্ত্রী অনি আক্তার বলেন, “আমাদের বিয়ে হয়েছে এক মাস হয়ে গেছে। তার নাকে পলিপাস ছিল। তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি । অ্যানেসথেসিয়ার পরও তার জ্ঞান ফেরেনি। আমার স্বামী মারা গেছে। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে ড. আবুল হাসানাত ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায়নি।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মফিজুল আলম যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।