সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিওতে জনকল্যাণ পার্টির খায়রুল নামে এক যুবক নিজেকে সভাপতি দাবি করে ৩০০ আসনে লড়বেন বলে জানিয়েছেন। খায়রুল বলেন, আমি এদেশে প্রধানমন্ত্রী,রাষ্ট্রপতি,এমপি,মন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনাকে বিদায় করবো। সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি পদে দাবি করা। সারা বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে শিশু, নারী, প্রতিবন্ধী, হিজড়া, বৃদ্ধরা বঞ্চিত। এ কারণে বাংলাদেশে আবদুর রহমানের মতো হাজার হাজার আবদুর রহমানের জন্ম, রাষ্ট্রপতি খায়রুলের জন্ম। আমরা ছাপছাপ বলে দিয়েছি, তফসিলের পরে বিএনপির সাথে আমরাও একদফা আন্দলনে থাকবো।
আমরা নির্দলীয় সরকার চাই এই সরকারকে সরাতে, তবে আমরা নির্বাচনে যাব। যখন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা হবে তখন, তার আগে নয়। আর নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার আগে তফসিল ঘোষণা হলে আমার গণতান্ত্রিক জোটের ৩০০ এমপি, বিএনপির ৩০০ এমপি, জামায়াতের ৩০০ এমপি, বিভিন্ন দলের ৩০০ এমপিসহ ১০০ করে লোক নিয়ে আসলে ৩০ লাখ লোক জমা করে নির্বাচন কমিশনের গেটের নির্বাচন বিল্ডিং এর ইট পাথর সহ যা পাবো তাই নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবো। তখন আর ইট খুঁজে পাবেন না নির্বাচন কমিশনার। জনকল্যাণ পার্টির খায়রুল বলেন, “বিএনপি বলেছে আমাগো সমাবেশে তোরা আইবি তগো সমাবেশে আমরা যামু”।
সেজন্য জনবল দরকার একা সম্ভব নয়। জনকল্যাণ পার্টির আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে খায়রুল বলেন, সবাই দিনে-রাতে কাজ করে, ছুটির দিন আইসা দেখা সাক্ষাৎ করে। মাঝে মাঝে ছুটি নিয়ে আসে আমরা সেই ভাবে চলি। আমরা মনে করি বিএনপি ক্ষমতায় না এলে দেশের কল্যাণ হবে না। আওয়ামী লীগের এমনও সিটি মেয়র আছে যারা টু পাস, আর আমরা বিএ পাশ- একটা সাবজেক্ট একটু খারাপ। তাইলে কোন দিক থেকে যোগ্যতায় আমরা কম।
জনকল্যাণ পার্টির খায়রুলকে বলা হয়, সব সময় একা হাঁটলে ৩০০ মানুষ পাবেন না। এ প্রসঙ্গে খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার উপদেষ্টাও এই মুহূর্তে কারাগারে রয়েছেন। যেখানেই যাই সবাই আমাকে রাষ্ট্রপতি বলেই চেনে। আমি যেখানে যাই সবাই আমাকে রষ্ট্রপতি হিসাবে চিনে।আমি আগে কাজকর্ম করতাম ২ মাস আগে বাসা থেকে টাকা পয়সা দিয়ে একটা কোচিং এ ভর্তি হয়েছি। কোরিয়ান ভাষা শিখতেছি,কোরিয়া এক বছর থাকা লাগবে কিছু ইনকাম করার জন্য। নির্বাচনের পরে আমি যাব কিন্তু ভাষা শিখতেছি বর্তমানে ।