নূরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি কিনছে। গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নূর আজকার পত্রিকাকে বলেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কেনার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। আমি ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় কিনছি। ৫০ লাখ টাকা প্রাথমিকভাবে চলতি মাসের ১০ তারিখে পরিশোধ করা হবে। বাকি টাকা আগামী ২ মাসর মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।” ।
তবে ঠিক কোথায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় কেনা হচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি নূর। গণঅধিকার পরিষদের একাধিক নেতা ও এই অংশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেলেও, পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কে প্রধান সড়কের পাশে কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি কিনছে দলটি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অফিস কেনার প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে মালিকদের ওপর চাপ দিতে পারে এই আশঙ্কায় তারা অবস্থান প্রকাশ করছে না।
অফিস কেনার টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে দলের উচ্চ পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, সংগঠনের নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন। আমরা ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি।
নুরুল হক নূর ও রেজা কিবরিয়ার দ্বন্দ্বের পর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে অস্থায়ী অফিসে দুই অংশই তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। অন্যদিকে প্রীতম জামান টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশের দখলে রয়েছে।
অব্যাহতি-বিপরীত অব্যাহতি নুরুল হক নূরের অনুসারীরা সম্মেলন হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে প্রীতম জামান টাওয়ারের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে কেউ অফিসে বসতে পারে না। তবে ভবনের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান রেজা কিবরিয়ার পক্ষ নেওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় রেজা কিবরিয়ার শেয়ার দখলে নিতে চায় বলে মডারেটরদের অভিযোগ। কার্যত আলাদা হলেও, উভয় বিভাগ তাদের অফিসিয়াল প্যাডে কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসাবে প্রীতম জামান টাওয়ার নামটি ব্যবহার করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রীতম জামান টাওয়ারের ১৭ তলার একটি কক্ষ অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন রেজা কিবরিয়ার অনুসারীরা। অন্যদিকে, পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় অস্থায়ী অফিসে নুরুল হক নূরের অনুসারীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা রেজা কিবরিয়া বর্তমানে প্রীতম জামান টাওয়ারের ১৭ তলায় দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ৬ তলার কার্যালয়কে নিজেদের কার্যালয় দাবি করছেন। দলের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, আমরা এখন ১৭ তলায় কার্যক্রম চালাচ্ছি কিন্তু আমাদের কার্যালয় ৬ তলায়।
১৭ তলা অফিস অস্থায়ী অফিস কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৬ তলা, ১৫ তলা কোনো বিষয় নয়। আমাদের স্থায়ী অফিসের ঠিকানা প্রীতম জামান টাওয়ার।
প্রীতম জামান টাওয়ারের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, “ছয় তলার অফিস ব্যবহারের জন্য কারও সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি। তালা লাগানো আছে। নতুন কোনো সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘রেজা কিবরিয়ার সমর্থকদের ১৭ তলায় একটি কক্ষ ভাড়া দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। প্রতি মাসে সেখান থেকে ভাড়া নিচ্ছি।
রেজা কিবরিয়া সমর্থকরা ৬ তলায় অফিস নিতে চান কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে কাউকে ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। এবং যেহেতু তাদের (রেজা পন্থী) ১৭ তলায় একটি অফিস দেওয়া হয়েছে, আমি আশা করি তারা ৬ তলায় যেতে চাইবে না।