মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা-২০১৭ ও মডেল রিংকি চাকমা পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিনি মা/রা যান। মৃ/ত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৮ বছর। মরণব্যাধি ক্যানসারের সাথে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে এই তারকা মা/রা যান।
২০২২ সালে রিংকির প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়ে। তার ম্যালিগন্যান্ট ফিলোডস টিউমার বা স্তন ক্যান্সার ছিল। এর পর অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু কোনো শঙ্কা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসে। যা পরবর্তিতে থাবা বসায় মস্তিষ্কে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেরিতে রিংকির শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কেমোও নিতে পারেননি। নানা চেষ্টার পরও বুধবার রিংকি মা/রা যান।
জানা গেছে, গুরুতর অবস্থার কারণে ২২ ফেব্রুয়ারি রিংকিকে সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে ছিল। একটি ফুসফুস প্রায় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
এদিকে ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় রিংকির সামর্থ্য ছিল না। এ জন্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে সবার কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। তারপর নিজের অসুস্থতার কথা বলেন।
রিংকি তখন পোস্টে লেখেন, “আমার পরিবার এবং আমি খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। গত দুই বছরে আমার চিকিৎসার জন্য আমাদের প্রচুর সঞ্চয় খরচ হয়েছে। এর জন্য আমরা এখন কেউ ডোনেশন দিলে গ্রহণ করছি।
প্রসঙ্গত, রিংকি ২০১৭ সালে মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা খেতাব জিতেছিলেন। সেই বছর মিস ইন্ডিয়া হয়েছিলেন মানুশি চিল্লার। এবং পরে তিনি মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব পান।
তার সম্পর্কে আরও জানা যায়, রিংকির স্বপ্ন তার বাবার মতোই বড় ছিল। তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা মডেল এবং চাকমা সম্প্রদায়ের প্রথম মডেল। এছাড়া তিনি ত্রিপুরা রাজ্য থেকেও প্রথম হয়েছেন।