শনিবার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি ও বিভিন্ন ঘটনাবলি নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তার সেই প্রশ্লগুলো তুলে ধরা হলো-
১. তিনি প্রশ্ন করলেন- কারা একজন পুলিশকেকে মেরেছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ছাত্রদলের এক নেতা তাকে চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হ”ত্যা করেছে। আপনার কাছে কি এর কোন ছবি বা ফুটেজ আছে? অন্য পুলিশ সদস্যরা সেই সময় কি করছিল? নিহত পুলিশ ভাইটি কি হেলমেট পরা ছিলেন না তখন?
২. যুবনেতাকে কে খু”ন করল, কিভাবে মা”রা গেল?
৩. কারা সংঘর্ষ শুরু করেছে? কারও ইন্ধন ছিল কি?
৪. প্রধান বিচারপতির বাড়ির গেটে হামলার সময় পুলিশ কোথায় ছিল? সেখানে তো সেই সময় প্রচুর পুলিশ থাকা উচিত। তারা কি প্রথমে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন? কেউ কি তার বাসায় ঢুকেছেন?
৫. হেফাজতে হামলার পর বহু বছর পর সম্ভবত প্রথমবারের মতো বিএনপির সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ বিকট শব্দের সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। এটার কি কোন প্রয়োজন ছিল? এটা কি সমানুপাতিক বল প্রয়োগের নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ?
৬. পুলিশ কি লাঠিসোঁটা নিয়ে আসা যুবকদের গ্রেপ্তারের কোনো চেষ্টা করেছিল? এগুলো বহনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেটা কি বলবৎ করার চেষ্টা করা হয়েছিল?
৭. বাসে কে আগুন দিয়েছে?এক পক্ষ, নাকি দুপক্ষই? কারা সেই পক্ষ? পুলিশের ভেস্ট পরা লোকেরা বাসে আগুন দিয়েছে বলা হয়েছে। এরা কারা?
৮. শাপলা চত্বরের মতো ঘটনা ঘটানোর হুমকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের। শাপলা চত্বরের মতো বিএনপির সমাবেশস্থলও বন্ধ করে দেওয়া হয়, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয় এবং পুলিশের আকস্মিক অভিযানে জনসভার মাঠ খালি করা হয়। পুলিশ কি এখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো কাজ করেছে, নাকি ক্ষমতাসীন দলের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করেছে?
আমি সব ধরনের সংঘ”র্ষের নিন্দা জানাই। আমি ঠিক কি ঘটেছে জানতে চাই। সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করবো নিরপেক্ষভাবে সত্য তুলে ধরতে। যারা মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করেন এটা তাদের পবিত্র দায়িত্ব।