বিশ্বে বিমান দুর্ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়। বিশ্বের অনেক দেশে ভ”য়া/বহ বিমান দুর্ঘটনার কথা শোনা গিয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে বিমান দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির নিকট পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়েন বিমানের পাইলট ও ক্রু’রাও। মাঝে মাঝেই বিমান দূর্ঘটনার ঘটনা শোনা গিয়ে থাকে যার কোনো কোনোটি খুব বেশি ভ’/য়াবহ হয় যে বিমান পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এবার চীনে ঘটলো তেমনই একটি বিমান দুর্ঘটনা।
তিন মিনিটেরও কম সময়ে, ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে একটি চীনা যাত্রীবাহী বিমান প্রায় ২৬,০০০ ফুট উপরে বি’/ধ্ব’স্ত হয়। অনলাইন ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ ( FlightRader-24 ) এ তথ্য জানিয়েছে। ফ্লাইটরাডার-২৪ ( FlightRader-24 ) অনুসারে, ছয় বছর বয়সী বিমানটি মাত্র আড়াই মিনিটের মধ্যে ২৯,১০০ ফুট থেকে ৯,০৭৫ ফুটে নেমেছিল। পরবর্তী ২০ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি আরও নীচে অবতরণ করে। তিন হাজার ২২৫ ফুট ওঠার পর বিমান থেকে তথ্য আসা বন্ধ হয়ে যায়।
এই উচ্চতা থেকে একটি বিমান অবতরণ করতে সাধারণত প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে। চীনা বেসরকারি এয়ারলাইন জানিয়েছে, MU-৫৭৩৫ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ( Noon ) ১টায় কুনমিং ( Kunming ) থেকে গুয়াংঝুর উদ্দেশ্যে ছেড়েছিল। ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ ( FlightRader-24 ) অজানা হিসাবে বিমানের অবস্থান দেখায়। বোয়িং ৭৩৭ পরে গুয়াংজি ঝুয়াং ( Guangxi Zhuang ) স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গুয়ানঝোউয়ের ( Guangzhou ) একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বি’/ধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে বিমানটি সময়মতো গুয়াংজুতে পৌঁছায়নি, বিমানটি বি’/ধ্বস্ত হওয়ার আশ’/ঙ্কা তৈরি করেছে। স্থানীয় সময় দুপুর ( Noon ) ২টা ২২ মিনিটের পর ফ্লাইটরাডার-২৪ ( FlightRader-24 ) বিমান থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এক গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে এএফপি ( AFP ) জানিয়েছে, বিমানটি “সম্পূর্ণভাবে বি’/ধ্বস্ত হয়েছে।” গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বিমানটি বি’/ধ্বস্ত হওয়ার পর পাশের জঙ্গলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।ঘটনাস্থলে যাওয়া উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, বিমানটি বি’/ধ্বস্ত হওয়ার পর বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকারী দল অতি দ্রুততার সাথে দুর্ঘটনার স্থানে পৌঁছায়। পৌঁছানোর পর ফায়ার ব্রিগেডের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন বিমান মাটিতে পড়ার পরপরই সেখানে আগুন ধরে যায়। আগুনের জন্য গ্রামবাসীদের কেউ আশেপাশে অবস্থান করতে পারিনি। তাৎক্ষণিকভাবে এখনো পর্যন্ত দুর্ঘটনার কোন তথ্য সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্তের পর জানা যাবে।