Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ২৪ ঘণ্টা ফার্মেসি খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মেয়র তাপস

২৪ ঘণ্টা ফার্মেসি খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মেয়র তাপস

সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ্বব্যাপি অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। এই মন্দার প্রভাবে পৃথিবীর অনেক দেশ অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। যার প্রভাবও বাংলাদেশে পড়েছে এসব কারনে জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন আমদানি পন্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সে জন্য এসব আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এবং লোডশেডিং সৃষ্টি হচ্ছে জন দুর্ভোগ বেড়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যেগ গ্রহন করেছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাত ১২ পর ‍ওষুধ দোকান বন্ধের আওতায় আনাতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র তাপস।২৪ ঘণ্টা ফার্মেসি খোলা রাখার যৌক্তিকতা দেখেন না ২৪ ঘণ্টা ফার্মেসি খোলা রাখার যৌক্তিকতা দেখেন না মন্তব্য করে যা বললেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

নানা সমালোচনা সত্ত্বেও ওষুধের দোকান একটি নির্ধারিত সময়ের পর এখনো বন্ধ রাখতে চান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিশ্চিত না করে ২৪ ঘণ্টা ওষুধের দোকান খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল-সংযুক্ত ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। কারণ, যেখানে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সুনির্দিষ্ট সময়ের পর, শুক্র-শনিবার এবং রাতের বেলা চিকিৎসকই পাওয়া যায় না, সেখানে ওষুধের দোকান কেন খোলা রাখা হবে?

প্রথমে ডাক্তারকে নিশ্চিত করতে হবে। তবেই চিকিৎসা সেবার জন্য ওষুধের দোকান খোলা রাখতে হবে। তবে কোনো হাসপাতাল থেকে লিখিত আবেদন এলে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করব।

সম্প্রতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলেছে যে আশেপাশের ওষুধের দোকান দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং হাসপাতালের কাছাকাছি ওষুধের দোকান দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বলে জারি করা এই নির্দেশ নিয়ে তুমুল সমালোচনা ওঠার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই পরিকল্পনা নাকচ করে বলেন, ওষুধের দোকান জরুরি বিষয়। সেখানে কোনো সময়সীমা থাকা চলবে না।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় কাউন্সিলের ষোড়শ করপোরেশন সভায় এ বিষয়ে কথা বলেন মেয়র তাপস।

দোকানপাট ও ওষুধের দোকানের বিষয়ে ২২ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “গণপ্রজ্ঞাপনের সময়সূচি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। শুধু হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে নানান কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অংশীজন যারা, তারা কিন্তু আমাদের কাছে কোনো লিখিত আবেদন করেননি।’

তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম (সময়সীমার) বাইরে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে সিটি করপোরেশনে লিখিত আবেদন করতে হবে।

তাকে দেখাতে হবে কেন তার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সেখানে অপরিহার্য। আমরা তা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রমকে বর্ধিত সময় দেব। তবে ঢাকা শহরকে একটি নির্দিষ্ট সময়সূচির মধ্যে আনতে হবে।

তাপস বলেন, ‘ঢাকা শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা একটি সময়সূচি ঠিক করেছি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর করতে চাই। সেখানে দোকান, বাজার, কাঁচাবাজার, রেস্তোরাঁর রান্নাঘর ও খাবার সরবরাহ, চিত্তবিনোদনসহ প্রেক্ষাগৃহ ইত্যাদির জন্য সমসয়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।। এছাড়া ওষুধের দোকানের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

“পাড়া-মহল্লার ওষুধের দোকানের জন্য আমরা রাত ১২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছি এবং হাসপাতালের সাথে যে ওষুধের দোকানগুলো রয়েছে, সেগুলোকে রাত ২টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে

ঘোষিত সময়সূচি বাস্তবায়নে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, আপনারা অবশ্যই এই সময়সূচি নিশ্চিত করবেন। এলাকা, পাড়া-মহল্লায় সবাই যেন সিডিউল অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করেন সেটি নিশ্চিত করবেন। লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

সময়সূচির সাথে করপোরেশনের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম ও শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘শুধু অবকাঠামো উন্নয়নেই একটি শহরকে পরিচালনা করা যায় না। তার সাথে সাথে আনুষঙ্গিক যত বিষয় রয়েছে সেগুলোরও সংযোগ রয়েছে।

“এটি একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী সহ আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সাথে জড়িত। যখন সবকিছু একটি সময়সূচীর অধীনে আসে, তখন আমরা আরও সুচারুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারব। ঢাকাবাসীকে ফলপ্রসূ ও কার্যকর সেবা দেওয়ার পাশাপাশি একটি উন্নত ঢাকার উপহার দিতে পারব।

কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন কাউন্সিলররা।

প্রসঙ্গত, ঢাকা সুশৃঙ্খলতায় আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে। সে জন্য একটি সময়সূচি নিদিষ্ট করা হয়েছে এর মাধ্যমে ঢাকা শহরকে একটি নিয়ম নীতির মধ্যে আনা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিন সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

About Babu

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *