কলকাতার অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সাংসদ নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে ২৪ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সম্প্রতি ইডি থেকে নুসরাতের ফোন আসে। আগামী মঙ্গলবার তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রাকেশ সিংকেও তলব করা হয়েছে।
সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির পরিচালক ছিলেন তিনি। আরেক পরিচালক ছিলেন রাকেশ সিং। অভিযোগ, ২০১৪ সালে তার প্রতিষ্ঠান ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নেয়।
৯ বছর পরও কেউ ফ্ল্যাট পায়নি। সে সময় তিন বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা এই প্রতারণার শিকার হয়ে ইডি অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। নুসরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি।
এই অভিযোগের পরপরই কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন নুসরাত। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, যে কোম্পানির জন্য তাকে ফাঁসানো হচ্ছে তার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তিনি নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন এবং সুদসহ ঋণ ফেরত দিয়েছেন। নুসরাত জানান, তিনি ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ঋণ নিয়ে ৬ মে ২০১৭ তারিখে এই কোম্পানিকে সুদসহ ১ কোটি ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দেন। তিনি আরও দাবি করেন, ২০১৭ সালের ১ মার্চ তিনি ওই কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন।
এদিকে রাকেশ সিংয়ে দাবি করেন, সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে নুসরাত জাহানকে কোনো ঋণ দেওয়া হয়নি।
নুসরাতের বক্তব্যে তিনি হতবাক বলেও জানান। এখন দেখার বিষয় ইডি-র তদন্তে গোটা ঘটনা কতটা বিভ্রান্তিতে পড়ে।