ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়কার জনপ্রিয় এবং সেই সাথে আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। কয়েকদিন পার হলেই আসছে তার জন্মদিন। প্রতি বছর পরীমনি তার জন্মদিন একটি জাঁকজমক পরিবেশে উদযাপন করে থাকেন। যারা তার আড়ম্বরপূর্ণ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই বলেছিলেন যে, পরীমনির জন্মদিনের পার্টিতে অতিথিদের জন্য একটি ড্রেস কোড থাকে। মূলত, পরীমনি তার জন্মদিনের একটি থিম সিলেক্ট করেন এবং সেই থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অথিতিদের পোশাক পরতে বলা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মা’/ম’লায় কা’/রা’গা/রে ছিলেন পরীমনি। কা’/রা’গা/র থেকে মুক্তির পর পরীমণি তার জন্মদিনের কথা গণমাধ্যমকে জানান, এবার তিনি নিজের খরচে গ্র্যান্ড বার্থডে পার্টির আয়োজন করবেন না। যদি কোন প্রতিষ্ঠান বা হোটেল-রেস্তোরাঁর পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে, সেক্ষেত্রে হবে একটি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন।
এবার ফে’সবুকে জন্মদিন নিয়ে আগাম বার্তা দিয়েছেন পরীমনি। কা’/রামুক্ত হয়ে পরী মেহেদিরাঙা হাতে দুইবার বার্তা দিয়েছেন। এবারের বার্তাটা অনেকটা তেমনি। এবার পরীমনি সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন একটি গল্প বলে। পরী তার ফেস’বুক অ্যাকাউন্টে গল্পটিতে লিখেছেন- ‘এক লোক একটা আস্ত বড় গরু গ্রিল করে তার মেয়েকে বললেন, আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভোজের জন্য ডাকো।
‘মেয়েটি রাস্তায় গিয়ে চিৎকার করতে থাকল, আমাদের বাসায় আ’/গু’ন লেগেছে কে কোথায় আছো আমাদের সাহায্য করো।’ অল্প কিছুসংখ্যক মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন। বাকিরা এমন ভাব করলেন, যেন তারা কিছু শুনতেই পাননি! যারা সাহায্যের জন্য এলেন, তারা পেটপুরে মজাদার সেই খাবার খেলেন।’
পরী গল্পে আরও লেখেন, ‘বাবা আশ্চর্য হয়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন- মা, যারা এসেছেন তাদের কাউকেই আমি চিনি না! আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা সব কোথায়? ‘মেয়েটি উত্তরে বলল- যারা এসেছেন তারাই আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী! তারা কিন্তু খাবার খেতে আসেননি। তারা এসেছেন আমাদের বাড়ির আ’/গুন নেভাতে। এরাই আমাদের আপনজন।’
গল্প শেষে পরীমনি লেখেন, ‘যারা বিপদের সময় তোমার পাশে থাকেনি, তারা তোমার আনন্দের অংশীদার হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না।’
কথাগুলো লেখার কারণ স্পষ্ট হয় একদম শেষের হ্যাশট্যাগের লেখা থেকে। পরী হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ’২৪ অক্টোবর ফ্যাক্ট’। ২৪ অক্টোবর পরীমনির জন্মদিন। আর এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে এবারে অন্যান্যবারের মতো আমন্ত্রিতদের তালিকাটা লম্বা হবে না।
উল্লেখ্য, পরীমনি নিষিদ্ধ দ্রব্যের মা’ম/লায় কা’/রা’গা’/রে থাকার পর তার মানসিকতায় অনেকটা পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছেন তার নিকটতম এক শুভাকাঙ্খী। তবে তিনি অতীতের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে চলার কথা জানিয়েছিলেন জা’মিন পেয়ে। তিনি সেই সময় বলেন, আমি আমার এই দু:সময়ে অনেক কাছের মানুষদের চিনতে পেরেছেন, এবং তাদের সাথে চলার সময় কথাগুলো স্মরন রেখেই চলবেন। পরীমনির জীবনে এই ধরনের ঘটনার যাতে পূনরাবৃত্তি না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখার কথা জানিয়েছিলেন।