বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দল। এই দলটি একটানা ৩ মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব পালন করছে। এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে দলটি। তবে এই দলটি এক সময় দীর্ঘ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে ছিল। এবং নানা ভাবে নি/র্যা/ত/ন-নীপিড়নের শিকার হয়েছে। সম্প্রতি সেই পূরানো দিনের বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা টানা ৩বার সরকারের ১৩ বছর পূর্ণ করেছি। ফলস্বরূপ, আমরা কিছুটা অগ্রগতি করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমরা আরও অনেক এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছি। ২০০৮ সালে যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম, ২০২১ সাল পর্যন্ত একটি রূপকল্প দিয়েছিলাম, আজ তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে গণভবনে কার্যত যোগদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে ১৫ আগস্টের পর যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, হ/ত্যা/র অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একের পর এক ক্ষমতা দখল করেছে, জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে তারা সামরিক আইন জারি করেছে এবং দেশ পরিচালনা করেছে। কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছে।” তিনি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেননি। এমনকি তিনি (বঙ্গবন্ধু) যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বা আইন প্রণয়ন করেছিলেন সেগুলোও বাস্তবায়ন হয়নি। “২১ বছর পর, আমাদের রাজ্যকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে,” তিনি বলেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার এসে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের নানা উদ্যোগ নেয়। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমরা ৫ বছর পরে ফিরে যেতে পারিনি। আবারও ৮ বছরের সময় নষ্ট হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে এবং আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারণ বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা ভাল অগ্রগতি করছি কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারী আমাদের অনেকটা বাধা দিয়েছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য আমাদের সরকার টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে বেশ কিছু মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। কারণ যেকোনো উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের ২৩ দফা নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে।
এই আওয়ামীলীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সম্প্রতি স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সমালি হয়েছে। এমনকি বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অর্জন করেছে বিশেষ স্বীকৃতি। এমনকি এই দলটি দেশের আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রহন করেছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ।